ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নাসিরনগর উপজেলার গোয়ালনগর ইউনিয়নের ভিটাডুবি ও নোয়াগাঁও এর মধ্যবর্তী এলাকায় বিল আটাউরি জলমহালে মাছ ধরার মহোৎসব জাল বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার ভোর হতে না হতেই ওই বিলে উপজেলার বিভিন্ন স্থান থেকে মৌসুমি জেলে ও সৌখিন মাছ শিকারিরা মাছ ধরার জন্য ছুটে আসে। স্থানীয়রা মাছ শিকারে মেতে ওঠে। জানা যায়, বিলের পানি একেবারে কমে যাওয়াই বিভিন্ন এলাকার লোকজন বুধবার মাছ ধরবে বলে নির্ধারণ করেন। পরে তা সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে মাধ্যমে প্রচার হয়ে যাওয়ায় ব্যাপক জানাজানি হয়।ভোরে দূর-দূরান্ত হতে বিভিন্ন যান বাহন করে শত শত সৌখিন মাছ শিকারী দলবেঁধে মাছ ধরার উপকরণ নিয়ে বিলে আসেন।
এ সময় তারা মাছ ধরার উপকরণ পলো,ছিতরি জাল,কড়া জাল, তেউরি জাল, ঠেলাজাল, ঢোলনা জাল, টেঁটা নিয়ে বিল বাইচে দলবেঁধে হাজির হন। বড়দের পাশাপাশি শিশুরাও মাছ ধরার উৎসবে মেতে ওঠে। ভোর হতে বিকাল পর্যন্ত এই উৎসবে মেতে ওঠে মাছ ধরা সহস্রাধিক নৌকা।
তবে এবার বিল বাইচে মাছ শিকার করতে আসা কয়েকজন শিকারির সাথে কথা বললে তারা তাদের হতাশার কথা বলেন।শাহাজি বাজার থেকে আসা বারিক মিয়া বলেন,মাছ নাই, মাছ পাইছিনা। অন্যান্য বছরে প্রথম টানে যেমন তেমন পরের টানেই মাছ পাইছি।
আরেক মাছ শিকারি রতনপুর থেকে আসা কালু মিয়াকে জিজ্ঞেস করতেই বলেন,মাছ পাইছি থুরাথুরি পয়সা খরচ করে এসেছি সেটা বিষয় না,কষ্ট বেশী। আগের মত মাছ নাই।
বাঘাসুরা থেকে আসা জাহিদ নামের আরো একজনের মুখেও হতাশার সুর। তিনি বলেন, আমরা ২০ জন এসেছিলাম। আগের মত মাছ নাই।
এব্যাপারে নাসিরনগর ইউনিয়ন ও ভিটাডুবি ধীবর সমবায় সমিতি লিঃ এর সা. সম্পাদক পরিমল দাস দুঃখ করে বলেন,নদী ও বিল ভরাট হওয়ার কারনে মাছ আগের চাইতে অনেক কমে গেছে।তারপরও প্রতিবছরের ন্যায় আমাদের পূর্ব পুরুষদের রেখে যাওয়া ঐতিহ্যকে ধারন করে গতানুগতিক ধারা অব্যাহত রেখে মাছ ধরা উৎসব অনুষ্ঠিত হয়েছে।এবার প্রত্যাশা অনুযায়ী মাছ না পেলেও সুন্দর ভাবে বাইচ অনুষ্ঠিত হয়েছে এটাই স্বার্থকতা।
আপনার মতামত লিখুন :