• ঢাকা
  • বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২০ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

শরিয়তপুর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে দিনের দালাল কমলেও রাতে দালাল বেপরোয়া


FavIcon
নুরুজ্জামান শেখ, শরীয়তপুরঃ
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২, ২০২৪, ০৯:১৯ পিএম
শরিয়তপুর হাসপাতালে জরুরি বিভাগে দিনের দালাল কমলেও রাতে দালাল বেপরোয়া

৫ ই আগস্ট সরকার পতনের পর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার হাবিবুর রহমানসহ অন্য অন্য ডাক্তারদের তদারকিতে হাসপাতাল জরিভাগের দিনের দালাল কিছুটা কমাতে পারলেও দিন দিন রাতের দালাল বেপরোয়া হয়ে উঠছে।কোন মতেই থামানো যাচ্ছে না রাতে জরুরী বিভাগে থাকা ডাক্তারের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সহচরী দালালদের। সরোজমিন ঘুরে গভীর অনুসন্ধানে উঠে এসেছে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে কিছু কিছু অভিজ্ঞ দালাল রয়েছে যারা এক যুগেরও বেশি সময় ধরে দালালি করে আসছে। এই অভিজ্ঞ দালালদের সাথে জড়িয়ে পড়েছে হাসপাতালের  কিছু ডাক্তার,নার্স কর্মচারী। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের কয়েকজন সরকারি কর্মচারী রয়েছেন যারা নামে বেনামে শরীয়তপুর ডিজিটাল ডায়গনস্টিক সেন্টারের মালিক হওয়া স্বত্বে আওয়ামীলীগ আমলের এই ১৫ বছর একক আধিপত্য বিস্তার করেছেন।এইসব কর্মচারীরা তাদের তৈরি করা কমিশন দেওয়া দালালদের সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগে কর্তব্যরত ডাক্তারদের সাথে সহযোগীহিসাবে থাকার সহযোগিতা করেছেন।দিনে এবং রাতে সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগে মধ্যবিত্ত গরিব অসহায় চিকিৎসা সেবা নিতে আসা রোগীদের দেওয়া হয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা । সক্রিয় দালালদের মাধ্যমে রোগীদের  পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে নেওয়া হয় বিভিন্ন ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।পরীক্ষা-নিরীক্ষার অর্ধেক টাকাই চলে যায় দালাল ও কিছু ডাক্তারদের পকেটে। গভীর অনুসন্ধানে উঠে এসেছে,সম্পূর্ণ দালাল দ্বারা নিয়ন্ত্রিত এবং দালালদের উপর পুরোপুরি নির্ভরশীল  শরীয়তপুর ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টার,সাগরিকা ডায়াগনস্টিক, মর্ডান মেডিকেল  ডায়াগনস্টিক,কেয়ার ৯৮ ডায়াগনস্টিক, পালং মেডিকেল ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও খান ডায়াগনস্টিক সেন্টার। এইসব ডায়গনস্টিকের দালালদের কাছে শরীয়তপুর সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জিম্মি।শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের সরকারি কর্মচারী এক নারী নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক গণমাধ্যমকে বলেন,হাসপাতালে ভর্তি কৃত রোগীদের বাহির থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার বেশিরভাগই ডিজিটাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারের। শরীয়তপুর সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডাক্তার মোঃ হাবিবুর রহমান গণমাধ্যমকে বলেন,হাসপাতাল ও হাসপাতালের জরুরি বিভাগ শতভাগ দালালমুক্ত করার উদ্যোগ হাতে নিয়েছি।মাঝেমধ্যে ভ্রাম্যমাণ অভিযান পরিচালনার মাধ্যমে দালালদের জেলে পাঠানো হচ্ছে। হাসপাতাল জরুরী  বিভাগে সব সময়  একজন ব্রাদার  ও একজন ওয়ার্ড বয় থাকে।এখন থেকে ওয়ার্ড বয়   জরুরী বিভাগে ডাক্তারদের সাথে সহযোগী হিসেবে থাকবে। বাহিরের কোন বহিরাগত লোক বা দালাল থাকতে পারবে না।
 


Side banner
Link copied!