২৭ নভেম্বর(বুধবার) রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বাংলাদেশ’র উদ্যোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক ভবন-৩ প্রাঙ্গণে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের স্মরণে স্মরণসভা এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানের শুরুতে ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে শহিদদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে শহিদ মিনারে পৃষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এরপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালন এবং জাতীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।
রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি প্রফেসর ড. এস. এম. হাসান তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ও উক্ত অনুষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা কমিটির আহ্বায়ক প্রফেসর ড. ফিরোজ আহমদ।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাথে সম্পৃক্ত শিক্ষার্থীবৃন্দ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ওপর গুরুত্বারোপ করে স্মৃতিচারণ করে বক্তব্য রাখেন। সভায় আরও বক্তব্য রাখেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডির সমন্বয়ক নজরুল ইসলাম।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শহিদ ও আহতদের শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে সভাপতির ভাষণে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এস. এম. হাসান তালুকদার বলেন, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে মানুষ দেখেছিল শ্রাবণের বিস্তীর্ণ আকাশ বেয়ে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিধারার ক্ষণে ক্ষণে কী তেজ! কী যে গতি! সেই তেজ আর গতিকে সঞ্চার করে বাংলার দামালেরা ‘কোটা’ নামক বৈষম্যের বিরুদ্ধেই শুধু নয় বরং লড়াই করে বিজয়ী হলো দীর্ঘদিনের স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধেও।
আমাদের অদম্য মেধাবী তরুণদের হাত ধরে অন্যায়, অবিচার ও বৈষম্যের শৃঙ্খল ভেঙে জন্ম হয়েছে এক নতুন বাংলাদেশের। তরুণদের এই জয়যাত্রায় সারাবিশ্ব অভিভূত। আমাদের প্রত্যাশা-চব্বিশের অনুপ্রেরণা নিয়ে তরুণ প্রজন্মের হাত ধরে সকল দেশের সেরা দেশ হবে আমাদের প্রিয় বাংলাদেশ। আলোচনা সভা শেষে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ঘটনাপ্রবাহ নিয়ে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।
আপনার মতামত লিখুন :