শরীয়তপুর ভেদরগঞ্জ উপজেলার রামভদ্রপুর ইউনিয়নের সিং জ্বালা মৌজায় ভূমিদস্যু মোস্তফা বেপারী ও আব্বাস ব্যাপারীর বিরুদ্ধে জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণের অভিযোগ উঠেছে। সরজমিন ঘুরে স্থানীয় সূত্রে জানা যায় ৫ই আগস্ট ২০২৪ আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ভূমিদস্যু ও ডাকাতি মামলার আসামি মোস্তফা বেপারী ও তার আপন ছোট ভাই আব্বাস ব্যাপারী বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী বিএনপি'র নাম ব্যবহার করে ওই একই এলাকা স্থায়ীভাবে বসবাসরত তাহের হাওলাদার এর পৈত্রিক সম্পত্তি আমলজারি ও ডিগ্রিমূলে এবং বর্তমান মাঠ জরিপ বিআরএস কালী পর্চা সূত্রে মালিক হওয়া সত্ত্বেও জোরপূর্বক জমি দখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেন। পৈত্রিক সূত্রে জমির মালিক তাহের হাওলাদার গণমাধ্যমকে বলেন আমার বাবা মজিদ হাওলাদার এবং মোস্তফা ব্যাপারীর বাবা ৮৪ সালের পূর্বে আমলজারির মাধ্যমে হিন্দুদের কাছ থেকে ৭একর ২৭ শতাংশ জমি ক্রয় করেন।৭একর ২৭শতাংশ জমির মধ্যে আমার বাবা মজিদ হাওলাদার একাই ৬ একর ৩৫শতাংশ আমলজারির মাধ্যমে জমি ক্রয় করেন। বাকি ৯২শতাংশ জমি মোস্তফা ব্যাপারীর বাবা ভিন্ন দাগে আমলজারির মাধ্যমে জমি ক্রয় করেন। পরবর্তীতে আমার বাবা৬.৩৫একর জমির আমল জারি দিয়ে ১৯৮৪ সালে দেওয়ানী আদালতে মামলা করে ডিগ্রী করেন।যাহার দেওয়ানি মামলা নং ৯০/৮৪।
১৯৯২ সালে মাঠ জরিপের সময় ৬.৩৫একর এর স্থলে
বিআরএস মাঠ জরিপে ৪.৮৫একর জমি ওঠে। বাকি ১.৫ একর জমি জন্য দেওয়ানী আদালতে মামলা চলমান আছে।পৈত্রিক সূত্রে মোস্তফা ব্যাপারীর গংদের সম্পত্তির কিছু অংশ নদী গর্ভে চলে যায় এবং বাকি সম্পত্তি বিভিন্ন মানুষেরা ভোগ দখল সত্যে মাঠ জরিপের সময় বিআরএস করে নিয়ে যায়। মোস্তফা বেপারী গংরা ৩০ ধারা এবং ৩১ ধারায় সম্পত্তি উদ্ধার করতে পারে নাই পরবর্তীতে তাদের ডিগ্রী ও বাতিল হয় । মোস্তফা বেপারী গং বিভিন্ন মানুষের কাছে বিলীন হওয়া সম্পত্তি উদ্ধার করতে না পেরে আমাদের সম্পত্তিতে জোরপূর্বক ভোগ দখলের চেষ্টা চালাচ্ছে।তাদের কর্মকাণ্ডে নিরুপায় হয়ে আমরা ভেদেরগঞ্জ থানার ওসিকে জানাতে বাধ্য হয়েছি। থানার ওসি বিষয়টি মীমাংসা করে দেওয়ার জন্য আমাদের উভয় পক্ষকে থানায় ডাকেন। সময় নির্ধারণ করে আমরা উভয়পক্ষ জমির মালিকানা স্বত্ব কাগজপত্র নিয়ে থানায় বসি। ঐদিন মোস্তফা বেপারী গং জমির মালিকানার সঠিক কাগজপত্র ওসি সাহেবকে দেখাতে ব্যর্থ হয়েছে।তবুও ওসি সাহেব বলেন আপনারা উভয় মীমাংসা না হওয়া পর্যন্ত আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে জমির কাছে কেহ যেতে পারবেন না।মোস্তফা বেপারী এবং আব্বাস বেপারী ওসি সাহেবের কথা অমান্য করে জোরপূর্বক আমার জমিতে ঘর নির্মাণ করেন এজন্য আপনাদের সাংবাদিক আনতে বাধ্য হয়েছি । এখন আপনাদের সাংবাদিকদের মাধ্যমে সঠিক বিচার চাই।
ঘর নির্মাণ কালে সরজমিনে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ভূমিদস্য মোস্তফা বেপারী গণমাধ্যমকে বলেন এতদিন এই জমি আমাদের দখলে ছিল আমরাই খেয়েছি।বিগত দিনে ঘর উঠাইতে পারি নাই কারণ আমাদের টাকা ছিল না এখন টাকা হইছে ঘর নির্মাণ করেছি।ওসি সাহেবকে কাগজপত্র দেখাইছি আমাদের কাগজ ঠিক আছে।ভূমিদস্যু মোস্তফা বেপারী ঘর নির্মাণ কালে সরজমিনে থাকা সালাম খা গণমাধ্যমকে বলেন এই জমি তাহের হাওলাদার এর কাছ থেকে বর্গায় চাষ করতাম।তাহের হাওলাদার মাছের ঘের তৈরি করায় আমরা বর্গা জমি ছেড়ে দিয়েছি। ৩৫ বছর ধরে মাছের ঘের সহ এই জমি তাহের হাওলাদারদের ভোগ দখলে আছে এখনো তারাই খাইতেছে।আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর জোরপূর্ব মোস্তফা ব্যাপারী এবং আব্বাস বেপারী এই মাছের ঘের দখল করে রাস্তার পাশে ঘর নির্মাণ করতেছে ।বাদী তাহের হাওলাদার গং পৈত্রিক সূত্রে মালিকানা সত্বে নিজস্ব সম্পত্তিতে শরীয়তপুর বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী(ভেদেরগঞ্জ) জজ আদালতে অস্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন।যাহার দেওয়ানী মোকাদ্দমা নং ৪৮৮/২৪। ভেদরগঞ্জ থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ পারভেজ আহমেদ সেলিম গণমাধ্যমকে বলেন অভিযোগের ভিত্তিতে উভয়কে ডেকে বসা হয়েছিল। কিন্তু এই জমি নিয়ে আদালতে মামলা থাকায় আমি কিছুই করতে পারবো না।এটা আদালতের বিষয় আদালতেই সমাধান করবেন ।
আপনার মতামত লিখুন :