• ঢাকা
  • শনিবার, ২৩ নভেম্বর, ২০২৪, ৯ অগ্রাহায়ণ ১৪৩১

মির্জাগঞ্জে অধ্যাক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও অনিয়মের অভিযোগ


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: নভেম্বর ১২, ২০২৪, ০৫:৫৬ পিএম
মির্জাগঞ্জে অধ্যাক্ষের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাৎ ও অনিয়মের অভিযোগ

মির্জাগঞ্জে মোঃ নুরুল হক নামে এক মাদরাসার অধ্যাক্ষের  বিরুদ্ধে প্রতিষ্ঠানের অর্থ আত্মসাৎসহ বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া গেছে। তিনি উপজেলার মানসুরাবাদ ইসলামিয়া সিনিয়র আলিম মাদরাসার অধ্যাক্ষ।
জানাযায়, অধ্যাক্ষ হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর থেকেই তিনি নিয়োগ বানিজ,সরকারি বরাদ্দ ও ইয়াতিমখানার অর্থ আত্মসাৎসহ নানাবিধ অনিয়ম করে প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে।
তার এইসব অনিয়ম তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রনের জন্য উপজেলা নির্বাহী অফিসার, জেলা প্রশাসক,মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস ও দূর্নীতি দমন কমিশনে সম্মিলিতভাবে লিখিত অভিযোগ করে এলাকাবাসী, অভিভাবক এবং শিক্ষার্থীরা।
এতে বলা হয়, গোপনীয়তা বজায় রেখে মোটা অংকের উৎতকোচের বিনিময়ে ১৬ তম গ্রেডে ৪ জন, ২০ তম গ্রেডে ৪ জন এবং ভাইস প্রিন্সিপালসহ মোট ৯ জনকে মনগড়া ভাবে নিয়োগ প্রদান করেন। যার মধ্যে লোমনান নামে একজন তার নিকট আত্মীয়। অধ্যাক্ষের সুপারিশেই নাকী তিনি নিয়োগপ্রাপ্ত হন। মাদরাসার মাঠ ভরাট,লিল্লাহ বোডিং, নতুন ভবন ও গেইট নির্মানের টাকার আয়-ব্যয়ের কোন হিসাব নেই তার কাছে। বন্ধ রেখেছে মাদরাসার ইবতেদায়ী শাখাটি। এছাড়াও মাদরাসার উন্নয়নমুলক কাজে সরকারি বরাদ্দ কৃত টাকা ও এতিম খানায় কোন এতিম না থাকা সত্তেও ১৫-১৭ জনের একটি ভূয়া এতিমদের তালিকা দিয়ে ক্যাপিটেশনের টাকা আত্মসাৎ করেন তিনি।প্রতিষ্ঠানের বিভিন্ন শিক্ষার্থীদের উপবৃত্তি প্রদানের নামে টাকা গ্রহন, ফরম ফিলাপের জন্য সরকারি ধার্যকৃত ফি এর চেয়ে অধিক টাকা আদায় এবং সার্টিফিকেট ভুল সংশোধনের জন্য শিক্ষার্থীদের অভিভাবক থেকে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করে থাকেন অধ্যাক্ষ। এমনকি সার্টিফিকেট/ প্রশংসা পত্রের জন্য ১৫০০- ২০০০ করে টাকা করে নেন তিনি।
এছাড়াও গত ১ বছরে  আবেদন ছাড়াই অধ্যাক্ষ ও লোকমানের বিরুদ্ধে নৈমিত্তিক ছুটি কাটানোরও অভিযোগ রয়েছে। এসব ছুটির কোন ডকুমেন্টারি কাগজপত্র নেই বলেও জানা যায়।
অভিযুক্ত অধ্যাক্ষ মোঃ নুরুল হকের ব্যবহারিত একাধিক ফোন নম্বরে বার বার করলে ও সে রিসিভ করে না। 
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও মাদরাসার দায়িত্বর বর্তমান সভাপতি মোঃ তরিকুল ইসলাম বলেন, তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
পটুয়াখালী জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মুহা: মুজিবুর রহমান বলেন, অভিযোগের সত্যতা পাওয়া গেলে দাপ্তরিকভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 
 


Side banner
Link copied!