চাঁদপুরের মতলব দক্ষিণ উপজেলায় মতলব পৌরসভার কার্যালয় স্থানান্তর করে সেখানে নতুন ভবন নির্মাণচেষ্টার প্রতিবাদে উপজেলা সদর বাজারের সকল দোকানপাট ৬ ঘন্টা বন্ধ রাখেন স্থানীয় ব্যবসায়ীরা।
৬ নভেম্বর বুধবার সকাল সাতটা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত বাজারের সব দোকান বন্ধ রাখা হয়। মতলব বাজার বণিক ও জনকল্যাণ সমিতির আহ্বানে ব্যবসায়ীরা ওই কর্মসূচি পালন করেন। পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানববন্ধনও করেন তাঁরা। দোকান বন্ধ থাকায় ভোগান্তিতে পড়েন স্থানীয় ক্রেতারা।
মতলব পৌরসভার কার্যালয় সূত্র জানায়, ১৯৯৯ সালে ওই পৌরসভা স্থাপিত হয়। তখন থেকে উপজেলা সদরের ম্যাক্সিস্ট্যান্ড এলাকায় একটি ভবনে এর কার্যক্রম চলে আসছে । এ বছরের শুরুতে ওই কার্যালয় স্থানান্তর করে উপজেলা সদর থেকে ২ কিলোমিটার দূরে চরমুকুন্দি এলাকায় ৬ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি নতুন ভবন নির্মাণের জন্য স্থানীয় সরকার ও পল্লী উন্নয়ন মন্ত্রণালয়ে (এলজিইডি) আবেদন করে পৌরসভার কর্তৃপক্ষ। ওই মন্ত্রণালয় সেখানে ভবন নির্মাণের জন্য ওই টাকার বরাদ্দ দেয়। টেন্ডারসহ যাবতীয় প্রক্রিয়া শেষে সেখানে সরকারি উদ্যোগে ভবন নির্মাণের কাজ আগামী ডিসেম্বর মাসে শুরুর কথা।
মতলব বাজার বণিক ও জনকল্যাণ সমিতি সূত্র জানায়, উপজেলা সদর থেকে অনেক দূরে প্রস্তাবিত ওই জায়গায় পৌরসভার কার্যালয় ও ভবন স্থানান্তরিত হলে ব্যবসায়ীসহ স্থানীয় লোকজন ভোগান্তিতে পড়বে। এ জন্য ওই ভবন ও কার্যালয় স্থানান্তরচেষ্টার প্রতিবাদে উপজেলা সদর বাজারের ১ হাজার ৮শ ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৬ ঘন্টা বন্ধ রাখা হয়। পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরে মানবন্ধন কর্মসূচিও পালিত হয়। এতে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও দোকানিসহ প্রায় দুই - তিন হাজার লোক অংশ নেন।
এ সময় মানববন্ধনে বক্তৃতা রাখেন মতলব পৌরসভার সাবেক প্যানেল মেয়র শাহ গিয়াস, পৌর বিএনপির সভাপতি শোয়েব আহম্মেদ সরকার, ব্যবসায়ী বিল্লাল হোসেন ফরাজী, মতলব বাজার বণিক ও জনকল্যাণ সমিতির সহসভাপতি মজিবুর রহমান সরকার ও আব্দুল হান্নান অপু এবং সাধারণ সম্পাদক ফয়সাল আহম্মেদ প্রমুখ।
বক্তারা প্রস্তাবিত ওই স্থানে পৌরসভার কার্যালয় ও নতুন ভবন নির্মাণচেষ্টার তীব্র প্রতিবাদ জানান এবং ওই প্রক্রিয়া অবিলম্বে বন্ধের জন্য প্রশাসনের কাছে দাবি জানান। অন্যথায় আরও কঠোর কর্মসূচি দেওয়ার হুঁশিয়ারিও দেন তাঁরা। উপজেলা সদর এলাকার বাসিন্দারা বলেন, দীর্ঘ সময় দোকানপাট বন্ধ থাকায় জরুরি প্রয়োজনে নিত্যপণ্য কিনতে পারেননি। এতে ভোগান্তি হয়েছে।
এ ব্যাপারে মতলব পৌরসভার প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফাতিমা সুলতানা বলেন, প্রস্তাবিত স্থানে পৌরসভার কার্যালয় ও নতুন ভবন স্থাপনের কাজ আগামী এক মাসেই শুরু হচ্ছে। এটি সরকারি সিদ্ধান্ত। সবকিছু নিয়ম মেনেই হচ্ছে। তবু বিষয়টি বিবেচনার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানাবেন।
আপনার মতামত লিখুন :