সরকারী খাস খতিয়ানের ২৩ শতক হালট এর সাড়ে ৫ শতক জায়গা ৯৯ বছরের জন্য ১৯৯২ সালে মানুষের চলাচলের রাস্তা বাদে পত্তনি নেয় স্থানীয় একটি আছাব আলী গং।
ওই জায়গার পিছনবাড়ির প্রভাবশালী নুর -এ- আলম সিদ্দিক তার বাড়ির সামনে খাস খতিয়ানের জায়গা দখলে ধুনট ভুমি অফিসের সার্ভেয়ারের যোগসাজসে পত্তনি বাতিলের পাঁয়তারায় মেতে উঠেছে। এতে জনমনে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
বগুড়া জেলার ধুনট থানার চালাপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
চালাপাড়া গ্রামের মৃত আছমত আলীর ছেলে আছাব আলী জানান, আমি ১৯৯২ সালে চালাপাড়া গ্রামের ২৩ শতক খাস খতিয়ানের জায়গার ১৭৭৬ দাগে সাড়ে ৫ শতক জায়গা বগুড়া জেলা প্রশাসন থেকে পত্তনি নিয়ে ৩২ বছর ধরে দখলে রয়েছি।
বাকী সাড়ে ১৭ শতক জায়গা নুর-এ-আলম সিদ্দিক বিনা পত্তনিতে ভোগ দখল করে আসছে। সরকারী রাস্তা বাদ দিয়ে সাড়ে ৫ শতক জায়গা পত্তনি নেওয়ায় প্রভাবশালী নুর - এ - আলম সিদ্দিক এর চোখের কাটা হয়ে দাড়িয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
নুর-এ-আলম সিদ্দিক তার বাড়ির সামনে ২৩ শতক খাস খতিয়ানের রাস্তা সংলগ্গ জায়গা খালি করে নিজের দখলে নিতে ধুনট সহকারী কমিশনার( ভুমি) অফিসের সার্ভেয়ার এর যোগসাজসে পত্তনি বাতিল করতে চলাচলের রাস্তার দাবী করে বগুড়া জেলা প্রশাসক বরাবর মামলা দায়ের করেন।
আছাব আলীর পত্তনি বাতিলে সার্ভেয়ারের পরামর্শে নানা অপকৌশল শুরু করেন। ওই অপকৌশলের খপ্পরে পড়ে পত্তনি মালিক আছাব আলী! আছাব আলী ১৭৭৬ দাগে খাজনা দিতে গেলে নায়েব ষড়যন্ত্র করে ১১৭৬ দাগে খাজনার চেক কেটে দিয়ে প্রতারণার সুত্র তৈরী করেন। আছাব আলী বকলম বলে সে বিষয়টি তাৎক্ষনিক বুঝতে পারেনি। নিরক্ষর আছাব আলী নায়েবের দেয়া ভুল খাজনার চেক নিয়ে নি : সন্দেহে চলে আসেন। নায়েবের ভুল দাগে খাজনার পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিপক্ষ লিজ বাতিলের আবেদন করলে তা বগুড়া জেলা প্রশাসক আমলে নেন। আবেদনে বলা হয় জনগণের চলাচলের রাস্তা বন্ধ করে জায়গা দখল।
মুলত রাস্তার জন্য ২০ ফুট বাদ দিয়ে পত্তনি নেয়াসহ ভোগদখল করা হয় ৩২ বছর ধরে। আছাব আলীর পত্তনি বাতিল করে প্রভাবশালী সমুদয় ২৩ শতক জায়গা ভোগ দখলের অপচেষ্টায় পত্তনি বাতিলের বন্দবস্ত করতে মরিয়া হয়ে উঠেছে।
আছাব আলী বলেন-প্রতিবেশী নুর-এ-আলম সিদ্দিক এর বাড়ীর সামনে খাস খতিয়ানের জায়গাটি হওয়ায় আমাকে উচ্ছেদ করে তার নিজ দখলে জায়গাটি গ্রাস করার পাঁয়তারা করছেন।
এ বিষয়ে ধুনট সহকারী কমিশনার(ভুমি) সার্ভেয়ার মো. সেলিম হোসেন বলেন-আছাব আলীর পত্তনি ঠিক আছে। কিন্তু খাস খতিয়ানে ১৭৭৬ দাগে খাজনা না দিয়ে ১১৭৬ দাগে খাজনা দেন তিনি। তার বিরুদ্ধে প্রতিবেশী প্রভাবশালী নুর-এ -আলম সিদ্দিক পত্তনি নেয়ার জায়গার উপর রাস্তা দেখিয়ে পত্তনি বাতিলের আবেদন এর মাধ্যমে রেকর্ড বাতিল করা হয়। তিনি সাংবাদিকদের বলেন নুর- এ- আলম সিদ্দিকের চারিদিকে প্রচুর জায়গা জমি রয়েছে। সে পত্তনি বাতিলসহ রেকর্ড সংশোধনের প্রক্রিয়ায় মামলা দায়ের করেছেন।
বিষয়টি সরজমিনে তদন্তপুর্বক ন্যায় বিচারের দাবী জানান পত্তনি নেয়া পরিবারের সদস্যরা।
আপনার মতামত লিখুন :