ঘুষের আখড়ায় পরিণত হয়েছে ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ ভুমি অফিস দপদপিয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস। আর এ অনিয়ম ঘুষ বাণিজ্য দুর্নীতির মুল হোতা দপদপিয়া ইউনিয়নের ভুমি অফিসের উপসহকারী তহশিলদার মুসা খান। সেবা নিতে আসা জনসাধারণের ভোগান্তি এখন চরমে।এই ভূমি অফিসে প্রায় দুই বছর দশ মাস ধরে তহশিলদার মুসা খান বিভিন্ন অনিয়ম করেও বহাল তবিয়তে রয়েছেন। বিগত আওয়ামীলীগের সরকারের আমলে দপদপিয়া ইউনিয়নের কিছু চিহ্নিত ভুমিদুস্য ও সন্ত্রাসীদের সাথে নিয়ে গড়ে তুলেছে অনিয়মের রাম রাজত্ব, যার ফলে হয়রানির স্বীকার হয়ে মুখ খুলতে পারতো না ভুক্তভোগীরা। আওয়ামী লীগের সাইনবোর্ড ব্যবহার করে অনিয়ম দুর্নীতি মাধ্যমে কোটি কোটি টাকার হাতিয়ে নিয়েছেন তহশিলদার মুসা। মুসা ভুমি অফিসের একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে সেবা নিতে আসা সাধারন মানুষের কাছ বিভিন্নভাবে জনসেবার হাতিয়ে নিয়েছেন টাকা ।
অভিযোগ রয়েছে অনলাইনে দাখিলা দিতে গেলে বিভিন্নভাবে অজুহাত দেখিয়ে এক থেকে দুই হাজার টাকা নেয় উপ-সহকারী তহশিলদার মুসা।আর মুসার সবচেয়ে বড় দূর্নীতির জায়গা হলো জমির মিউটেশন করা। জমি ক্রয় করার পরে প্রত্যেক জমির মালিককেই বাধ্যতামূলক জমির রেকর্ড (মিউটিশন) করতে হয়। সরকারি ধার্য অনুযায়ী মিউটিশন ফি ১১৭৫টাকা। কিন্তু উপ সহকারী তহশিলদার মুসা জমির মালিকদের বিভিন্নভাবে এটা ওটা বুঝিয়ে হয়রানি করে উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে দিতে হবে বলে দশ হাজার থেকে লাখ টাকা চুক্তি করেন জমির মিউটিশনের জন্যে। তখন জমির মালিকগন নিরুপায় হয়ে মুসার ফাঁদে পা দিয়ে হাজার বা লাখ টাকা গচ্চা দেয় ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একাধিক ভুমি মালিকরা জানান মুসার এহেন কর্মকান্ড দিনে দিনে বেড়েই চলছে। আর এখন যদি দূর্নীতিবাজ তহশিলদার মুসার কর্মকান্ডের সঠিকভাবে তদন্ত করে শাস্তির আওতায় না আনা যায় তাহলে সাধারণ ভুমি মালিকদের ভোগান্তি ও হয়রানি চরম আকারে ধারন করবে তাই অতি শীঘ্রই আইনের আওতায় এনে শাস্তি দাবি জানিয়েছেন। এছাড়াও দুদকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন ভুক্তভোগী জমির মালিকরা। এ ব্যাপারে জানতে তহশিলদার মুসার মুঠো ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন ব্যস্ত আছি পরে কথা বলবো।
আপনার মতামত লিখুন :