চাঁদপুরসহ সারাদেশে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের দ্বিতীয় বৃহত্তম ধর্মীয় উৎসব কালীপূজা । এই উৎসবটি আবার শ্যামাপূজা নামেও পরিচিত। একই সঙ্গে আজ উদযাপিত হবে দীপাবলি উৎসব।
এরই ধারাবাহিকতায় আজ ১ নভেম্বর বৃহস্পতিবার মতলব দক্ষিনের মতলব শ্রীশ্রী কালী মাতার মন্দির, মতলব শ্রীশ্রী জগন্নাথ দেব মন্দির, কলাদী হরিসভা, ঘোষপাড়া হরিসভা, দশপাড়া কালীগাছ মন্দির, কানাই সাহার বাড়ীসহ প্রায় ২১ টি মন্দিরে অনুষ্ঠিত হবে কালীপূজা ।
হিন্দু সম্প্রদায় কার্তিক মাসের অমাবস্যা তিথিতে সাধারণত কালীপূজা বা শ্যামাপূজা অনুষ্ঠিত হয়ে থাকে। পূরাণ মতে, কালী দেবী দুর্গারই আরেকটি শক্তি। সংস্কৃত ভাষার ‘কাল’ শব্দ থেকে কালী নামের উৎপত্তি। কালীপূজা হচ্ছে শক্তির পূজা। জগতের সকল অশুভ শক্তিকে পরাজিত করে শুভশক্তির বিজয়। কালী দেবী তার ভক্তদের কাছে ‘শ্যামা’, ‘আদ্য মা’, ‘তারা মা’, ‘চামুন্ডি’, ‘ভদ্রকালী’, ‘দেবী মহামায়া’সহ বিভিন্ন নামে পরিচিত।
কালীপূজার দিন সনাতন ধর্মের অনুসারীরা সন্ধ্যায় তাদের বাড়িতে ও শ্মশানে প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করে
একে বলা হয় দীপাবলী।
কালীপূজা করা হয়। মধ্যরাত্রে তান্ত্রিক পদ্ধতিতে মন্ত্রোচ্চারণের মাধ্যমে পূজা অনুষ্ঠিত হয়। তবে গৃহস্থ বাড়িতে সাধারণত অতান্ত্রিক ব্রাহ্মণ্যমতে আদ্যাশক্তি কালীর রূপে কালীর পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
দিপাবলী কালীপূজা উপলক্ষে সকলকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন মতলব দক্ষিন উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান যুবঐক্য পরিষদের আহবায়ক সমির ভট্রাচার্য্য ।
আপনার মতামত লিখুন :