• ঢাকা
  • বুধবার, ১৫ জানুয়ারি, ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১

মেয়র যা পারেনি সেই কাজ করে দিলেন এসিল্যান্ড


FavIcon
সমির ভট্টাচার্য্য
প্রকাশিত: আগস্ট ৩০, ২০২৪, ০৪:৫৭ পিএম
মেয়র যা পারেনি  সেই কাজ করে দিলেন এসিল্যান্ড

চাঁদপুরের  মতলবে তিন বছরে মেয়র যা করতে পারেনি সেই কাজ ৯ দিনে করে দিলেন এসিল্যান্ড । মতলব পৌরসভার পূর্ব কলাদী ও দাসপাড়া এলাকার মধ্যবর্তী খালের ওপর স্থাপিত লোহার সেতুটি গত প্রায় তিন বছর ধরে ছিল সংস্কারহীন, জরাজিন্য অবস্থায় । পৌরসভাটির মেয়র আত্মগোপনে যাওয়ার পর পৌর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে ৯ দিনের মধ্যেই ওই সেতুটি সংস্কার করেন পৌর প্রশাসকের দায়িত্বে থাকা সহকারী কমিশনার (ভূমি) (এসিল্যান্ড) নিলয় রহমান ।
 এতে করে সেতুর আশপাশে ৬টি গ্রামের প্রায় ২০ হাজার লোকের যাতায়াতের কষ্ট লাঘব হয়েছে । 

মতলব পৌরসভার কার্যালয় ও স্থানীয় সূত্র জানায়, পৌরসভাটির পূর্ব কলাদী ও দাসপাড়া এলাকার মাঝখান দিয়ে বয়ে যাওয়া খালের ওপর ১৫০ ফুট দীর্ঘ ও ৮ ফুট চওড়া চলাচলের ওই সেতুটি একসময় লোহার তৈরি ছিল। লোহার পাটাতন ভেঙে যাওয়ার পর পৌরসভার উদ্যোগে ২০২০ সালে সেখানে বাঁশ ও কাঠ দিয়ে সেতুটি সংস্কার করা হয়। এরপর ২০২২ সালের মাঝামাঝি সময়ে সেতুটি জীর্ণশীর্ণ ও চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়ে। তখন থেকে প্রায় তিন বছর ধরে সেতুর সংস্কার করেনি পৌর কর্তৃপক্ষ।
সূত্রটি আরও জানায়, শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ওই পৌরসভার মেয়র আওলাদ হোসেন আত্মগোপনে চলে যান। গত ১৯ আগস্ট সেখানে পৌর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পান সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নিলয় রহমান। পৌর প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব নেওয়ার ৯ দিনের মধ্যে ২৫ হাজার টাকা ব্যয়ে ওই সেতুটি সংস্কার করেন তিনি। 
পৌরসভাটির পূর্ব কলাদী এলাকার বাসিন্দা ইকবাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, এ সেতুর ওপর দিয়ে পূর্ব কলাদী, মধ্য কলাদী, দক্ষিণ কলাদী, দক্ষিণ বাইশপুর, উত্তর বাইশপুর ও দাসপাড়া এলাকার বাসিন্দাকে যাতায়াত করতে হয়। এটি সংস্কারের জন্য মেয়রকে একাধিকবার লিখিত ও মৌখিকভাবে জানানো হলেও তা সংস্কার হয়নি। প্রায় তিন বছর ধরে এটি সংস্কারহীন। এতে সেতুটির আশপাশের প্রায় ২০ হাজার লোককে ভোগান্তি পোহাতে হয়। নড়বড়ে ও ভাঙাচোরা ওই সেতুর ওপর দিয়েই ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করে কমলমতি শিক্ষার্থীসহ লোকজন। এটি সংস্কার হওয়ায় আপাতত এলাকাবাসীর যাতায়াত ও চলাচলের কষ্ট লাঘব হবে। দায়িত্ব নিয়েই সেতুটি সংস্কার করায় পৌর প্রশাসক ধন্যবাদ পাওয়ার দাবি রাখেন।
এ ব্যাপারে পৌরসভাটির সর্বশেষ সাবেক মেয়র আওলাদ হোসেনের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে সংযোগ বন্ধ পাওয়া যায়। ওই পৌরসভার প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব পালনকারী উপজেলা প্রশাসনের সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. নিলয় রহমান বলেন, এলাকাবাসীর সমস্যার কথা চিন্তা করে আপাতত চলাচলের জন্য সেতুটি সংস্কার করেন।
 


Side banner
Link copied!