হবিগঞ্জে বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে উঠেছে। বন্যার পানি শুকিয়ে যাওয়ার মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরে এসেছে। তবে এখন বিভিন্ন এলাকায় ভেসে উঠছে ক্ষত চিহ্ন।
গবাদি পশু ও হাস মোরগে দেখা দিয়েছে নানা-রোগ বালাই। পাশাপাশি ব্রীজ ও রাস্তাঘাট ভেঙ্গে যাওয়ার কারনে মানুষের মধ্যে দেখা দিয়েছে চরমে দূর্ভোগ।
জানা যায়, চলতি বন্যায় হবিগঞ্জ জেলায় ৪০টি খামারে ১৮২ গবাদি পশু ও ৩৫টি খামারে ২৭ হাজার ৪০০ হাস-মোরগ বন্যায় কবলিত হয়। এছাড়া ৩টি গরু, ৩৯টি ছাগল ও ৫ হাজার ৩শ হাস-মোরগ মারা গেলে ৩২ কোটি ৪৪ হাজার ৯৫০ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে।
এছাড়া জেলার ৭টি উপজেলায় ৬টি ব্রীজ ও রাস্তাঘাট ভেঙ্গে ক্ষতি হয়েছে প্রায় ১৬ কোটি টাকা। এদিকে
হবিগঞ্জের খোয়াই নদী ভাংগনের স্থলে একটি গ্রামের নাম দুর্লভপুর। এই গ্রামের কোথাও বুক পানি, কোথাও গলা পানি। এখনো সেখানকার গরু-ছাগল ও পশু গুলো দেখলে দেখা যায় যেমন ১ মাস যাবত কিছুই খায়নি। জেলা ত্রান অফিস সুত্রে জানা যায়, গো খাদ্য হিসেবে দেখা যায় ৫ লাখ টাকা বিতরণ করেছে। কিন্তু ১ টাকাও ছিটা-ফোটা নেই এলাকাগুলোতে।
হবিগঞ্জে বন্যার্থদের মধ্যে খাবার বিতরণ করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার দিনভর এসব খাবার বিতরন করেন জেলা বিএনপির নেতা-কর্মী। কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক পৌর মেয়র জি কে গউছ এগুলো বিতরণ করেন। তারা জেলা শহরের নাতিরাবাদ, হরিপুর, যশেরআব্দা, গরুর বাজার, খোয়াই নদী তীরবর্তী বাসিন্দা এবং আশপাশের বন্যা কবলিত কয়েকটি এলাকার মানুষের মাঝে বিতরণ করেন।
আপনার মতামত লিখুন :