• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

আসামি ধরতে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ গেল এস আই রেজাউলের


FavIcon
জহুরুল ইসলাম:
প্রকাশিত: জুলাই ১৫, ২০২৪, ০৬:৫৪ পিএম
আসামি ধরতে গিয়ে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে প্রাণ গেল এস আই রেজাউলের

আসামিকে নিয়ে চুরির মামলার মালামাল উদ্ধার করতে গিয়ে নদীর পানিতে ডুবে সিরাজগঞ্জের রায়গঞ্জ থানায় কর্মরত মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম শাহ নামে এক পুলিশ উপ-পরিদর্শকের মৃত্যু হয়েছে। 

আজ সোমবার (১৫ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে উল্লাপাড়া থানার ধোপাকান্দি এলাকায় স্বরসতি নদীতে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম শাহ নওগার পত্নীতলা উপজেলার আমন্ত্রণ গ্রামের মোজাম্মেল হকের ছেলে। 


সিরাজগঞ্জ পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল জানান, একটি  চুরি মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া আসামিকে নিয়ে এসআই মোহাম্মদ রেজাউল ইসলাম মালামাল উদ্ধারের জন্য বের হন। ঘটনাস্থলে গেলে ওই আসামি পালানোর জন্য দৌড় দেন। এসআই রেজাউলও আসামির পিছে পিছে পাট ক্ষেতের ভেতর দিয়ে দৌড় দেন।

একপর্যায়ে ওই আসামি স্বরসতি নদীতে ঝাঁপ দেন। রেজাউলও তাকে ধরতে পানিতে ঝাঁপ দিলে পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়। দৌড় দেওয়ার পর নদীর পানিতে পড়ে হৃদযন্ত্র ক্রিয়া বন্ধ হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

পুলিশ সুপার আরো জানান, সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। পলাতক আসামি নাজমুলকে গ্রেপ্তারে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চলছে।          

রায়গঞ্জ থানার ওসি হারুন অর রশিদ জানান, গত ৩ জুলাই রাতে রায়গঞ্জ উপজেলার একটি বাড়িতে স্বর্ণালংকারসহ মালামাল চুরির ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নাজমুল ইসলামসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়। আজ সোমবার সকাল ১০টার দিকে এসআই রেজাউল ইসলাম হাটিকুমরুল এলাকা থেকে নাজমুলকে গ্রেপ্তার করেন।

এরপর চুরি হওয়া মালামাল উদ্ধারের জন্য তাকে নিয়ে ধোপাকান্দি এলাকায় যান তিনি। সেখানে যাওয়ার পর আসামি নাজমুল পালানোর জন্য পুলিশের পিকআপ থেকে লাফ দিয়ে দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করেন। এসআই রেজাউলও আসামির পেছনে দৌড় দিলে সে নদীতে ঝাঁপ দেয়। সাথে সাথে  রেজাউলও নদীতে ঝাপ দেন। একপর্যায়ে নাজমুল সাঁতরে পালিয়ে গেলেও রেজাউল নদীর পানিতে তলিয়ে যান।

উল্লাপাড়া ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ নুরুল ইসলাম বাবু বলেন, সংবাদ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে নদী থেকে এসআই রেজাউল ইসলামকে উদ্ধার করা হয়। এরপর দ্রুত তাকে সিরাজগঞ্জ শহীদ এম, মনসুর আলী মেডিক্যাল কলেজ অ্যান্ড হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহতের মরদেহ ময়না তদন্তের জন্য বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হয়।


Side banner
Link copied!