• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১

ভূঞাপুরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৪, ০৮:২১ পিএম
ভূঞাপুরে স্বাস্থ্য কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ

ক্ষমতার অপব্যবহার,অর্থ আত্মসাৎসহ  নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে। আর এসব অনিয়ম ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ওই হাসপাতালের ডাক্তার, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা সিভিল সার্জনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। তদন্তের মাধ্যমে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানিয়েছেন সিভিল সার্জন।
অভিযোগে জানা যায়, আব্দুস সোবহান যোগদানের পর থেকেই হাসপাতালের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দকৃত অর্থ কোনো কাজে খরচ না করে ভুয়া বিল-ভাউচারের মাধ্যমে আত্মসাৎ করে আসছেন। হাসপাতালের এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম ও ইসিজি পরীক্ষার জন্য রোগীদের মাঝে রশিদ না দিয়ে প্রতিদিন অল্পসংখ্যক এক্স-রে, আল্ট্রাসনোগ্রাম ও ইসিজি’র টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দিয়ে বেশির ভাগ টাকা নিজের ব্যক্তিগত কোষাগারে জমা করেন। রশিদ বই এবং রেজিস্টার খাতা যথাস্থানে না  রেখে নিজের কাছেই রাখেন তিনি। যেক’টি পরীক্ষার টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করেন তার রশিদ তিনি নিজেই তৈরি করেন। এতে করে বিপুল পরিমাণ অর্থ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে সরকার। এছাড়া সরকারি বিভিন্ন ট্রেনিং ও প্রোগ্রামের টাকা চেকের মাধ্যমে উত্তোলন করে অল্পকিছু টাকা বিতরণ করে বাকি টাকা নিজের পকেটে তোলেন। পরিষ্কার- পরিচ্ছন্নতা ও ঠিকাদারির বিভিন্ন খাতসহ খাদ্যপথ্যের ঠিকাদারের কাছ থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ হাতিয়ে নেন। ফলে ঠিকাদাররা তাদের ঘুষের টাকার উশুল করতে কম ও নিম্নমানের খাবার পরিবেশন করেন।

এদিকে, হাসপাতালে কর্মরত বিভিন্ন ডাক্তার, নার্স ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তার অনিয়মের প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের বিভিন্ন হুমকি-ধমকি ও বদলির ভয় দেখান।
তারা গত ১০ই জুলাই স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার আব্দুস সোবহানের বিরুদ্ধে টাঙ্গাইল সিভিল সার্জনের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। অভিযোগ পেয়ে ১১ই জুলাই হাসপাতালে যান সিভিল সার্জন ডাক্তার মো. মিনহাজ উদ্দিন। সিভিল সার্জনের হাসপাতাল থেকে ঘুরে যাওয়ার পর নিজেকে পরিশুদ্ধ করতে যারা অভিযোগ পত্রে স্বাক্ষর করেছেন তাদের নানাভাবে ভয়ভীতি দেখিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়া শুরু করেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তা। ফলে অভিযোগকারীদের মধ্যে বিরাজ করছে আতঙ্ক। নামপ্রকাশে অনিচ্ছুক অনেকেই জানান, সিভিল সার্জন চলে যাওয়ার পর তাদের বিভিন্নভাবে হুমকি-ধমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়া হচ্ছে। অনিয়ম ও দুর্নীতির প্রতিবাদ করায় তাদের আতঙ্কে সময় কাটছে। আব্দুস সোবহান বলেন, বিষয়টি বসে সমাধান করা হয়েছে। তিনি টাঙ্গাইল যাচ্ছেন, পরে কথা হবে বলে ফোন রেখে দেন। সিভিল সার্জন ডা. মিনহাজ উদ্দিন বলেন, স্বচ্ছতার সঙ্গে সেবা নিশ্চিত করতে ভূঞাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তাকে বলা হয়েছে। আর আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
 


Side banner
Link copied!