• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর, ২০২৪, ৩ কার্তিক ১৪৩১

শাহজাদপুরে চলছে নির্বিচারে ডিমওয়ালা ও পোনা মাছ নিধনের মহোৎসব


FavIcon
মাসুদ মোশাররফ, শাহজাদপুর (সিরাজগঞ্জ) :
প্রকাশিত: জুলাই ১৩, ২০২৪, ০৮:০২ পিএম
শাহজাদপুরে চলছে নির্বিচারে ডিমওয়ালা ও পোনা মাছ নিধনের মহোৎসব

শাহজাদপুর উপজেলার যমুনা, করতোয়া, বড়াল, হুরাসাগর, ধলাই, চাকলাইসহ উপজেলার বিস্তৃত জলসীমায় নিষিদ্ধ চায়না দোয়ার, নেটজাল, কারেন্ট, বাদাই ও মশারি জালে প্রচুর পরিমাণে ধরা পড়ছে ডিমওয়ালা মা মাছ ও পোনা মাছ । ফলে মাছের বংশবৃদ্ধি নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞমহল। তাদের ভাষ্যমতে, দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজননের ভরা মৌসুমে ডিমওয়ালা মা মাছ নিধন বন্ধ করা না গেলে ভবিষ্যতে মাছের আকাল দেখা দেয়ার আশঙ্কা রয়েছে।
এদিকে, ডিমওয়ালা মা মাছের সাথে পাউনে (মাটির গর্তে) ডিম ছাড়া মা মাছও জেলেদের নিষিদ্ধ জালে ধরা পড়ায় পোনামাছের জীবনও বিপন্ন হয়ে পড়েছে। প্রজনন মৌসুমে যমুনাসহ অন্যান্য নদীতে ডিমওয়ালা মা ও পোনা মাছ নিধনে বিধিনিষেধ উপেক্ষা করে ওইসব নিষিদ্ধ জাল দিয়ে স্থানীয় জেলেরা নির্বিচারে মা পোনা মাছ নিধনের মহোৎসবে মেতে উঠেছে।
দেশীয় প্রজাতির মাছের নির্বিঘেœ প্রজনন ও বংশবৃদ্ধির পরিবেশ তৈরি করতে সংশ্লিষ্ট বিভাগকে আরও জোড়দার অভিযান চালিয়ে মা মাছ ও পোনা নিধন বন্ধ করতে অবিলম্বে কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার আহ্ধসঢ়;বান জানিয়েছেন এলাকার সচেতনমমহল।
এলাকাবাসী জানায়, উপজেলার, যমুনা, করতোয়া, বড়াল, হুরাসাগর, ধলাই, চাকলাইসহ চলনবিলের বিস্তৃত নদীর পানি বৃদ্ধির সাথে সাথে শাহজাদপুরের যমুনা নদী তীরবর্তী কৈজুরী, জামিরতা, কাশিপুর, বেনুটিয়া, সোনাতনীসহ বন্যায় প্লাবিত এলাকাগুলোতে ডিমওয়ালা মা মাছের আনাগোনা বৃদ্ধি পেয়েছে। জেলেদের জালে ধরা পড়ছে দেশীয় প্রজাতির বড় বড় আকৃতির মা মাছ। এসব এলাকায় প্রতি দিনই ডিমওয়ালা রুই, আইড়, পাঙ্গাশ, চিতল কাতলাসহ দেশীয় প্রজাতির বড় বড় ডিমওয়ালা মা মাছ ধরা পড়ছে। যা বিভিন্ন হাটবাজারে হাজার হাজার টাকায় বিক্রি হচ্ছে।
স্থানীয় জেলেরা জানান, আইড় মাছ পাউনে (মাটির গর্তে) পোনা ছাড়ার পর ওইসব পোনা মা আইড় মাছের শরীরের লালা খেয়ে বেঁচে থাকে। ফলে আইড় মাছের শরীর কালচে আকার ধারণ করে। পরে ওইসব পোনা মাছ অন্য খাবার খাওয়া শুরু করলে মা আইড় মাছের শরীর লালচে আকার ধারণ করে।
বর্তমানে যমুনায় বড় আকারের পাঙ্গাশ, আইড়, চিতল, রুই, কাতলাসহ বিভিন্ন প্রজাতির মা মাছ ডিম ছাড়ছে।
কিন্তু, নিয়মিত তদারকির অভাবে জেলেরা অবৈধ চায়না দোয়ার, নেট, কারেন্ট, বাদাই ও মশুরি জাল দিয়ে পোনা ও ডিমওয়ালা মাছ নির্বিচারে নিধন করায় মাছের বংশবৃদ্ধি নিয়ে চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিজ্ঞমহল।
এ বিষয়ে শাহজাদপুর উপজেলা মংস্য কর্মকর্তা ইসমাত জাহান বলেন,মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হচ্ছে। সেইসাথে জনসচেতনতা সৃষ্টিতে মাইকিং করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে
অভিযান চালিয়ে ৬০ টি চায়না দোয়ার ও ৭০ হাজার টাকা মূল্যের ১টি নেটজাল উদ্ধার করে আগুনে ধ্বংশ করা হয়েছে। মাছের প্রজনন নিশ্চিত করতে চেষ্টা করছি। অপরদিকে, শাহজাদপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: কামরুজ্জামান জানান,মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করতে উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।


Side banner
Link copied!