সিরাজগঞ্জ বাগবাটীতে তুচ্ছ ঘটনার জেরে পাওয়ারলুম ব্যবসায়ী মো. সাইফুল ইসলাম (৪০) কে সন্ত্রাসী কায়দায় মারপিটে আহত ও বিপুল পরিমান নগদ টাকা লুটের অভিযোগ উঠেছে বাবলু ও আব্দুল মান্নান গংদের বিরুদ্ধে।
গুরুতর আহত সাইফুল ইসলামকে শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। আহত সাইফুল ইসলাম ঢলডোব বিলপাকুরিয়া গ্রামের মৃত রমজান আলীর ছেলে। বৃহস্পতিবার (৪ জুলাই) বিকেল ৪টায় ঘটনাটি ঘটেছে সদর উপজেলার বাগবাটী ইউনিয়নের ঢলডোব বিলপাকুরিয়া গ্রামে।স্থানীয়রা জানান, সাইফুল ইসলাম তার নিজ এলাকায় ইট বালুর ব্যবসা করে আসছিল। গত ৩০ জুন রাস্তার পাশে ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠানে বালু নামানোর সময় ট্রাকের ড্রাইভার এর সাথে বাবলুর কথা কাটাকাটি হয়। এই ঘটনার জেরে সাইফুল ইসলামের ছোট ভাইকে বাবলু দেখে নিবে বলে হুমকি দেয়।
এই ঘটনার জের ধরে গত বৃহস্পতিবার বিকেল ৪ টার সময় খোড়াগাতী গ্রামের বাবলুর নির্দেশে আব্দুল মান্নান(৫০)ও মো. কালাম (৪৫)সহ ১৫/২০ জন সন্ত্রাসীরা পুর্ব কল্পিতভাবে রড,চাকু, মাকু ও ইটসহ দেশীয় অস্ত্রে সজ্জে সজ্জিত হয়ে হামলা চালিয়ে সাইফুল ইসলামকে এলোপাথারী মারপিট শুরু করে রক্তাক্ত জখম করে। এ সময় ব্যবসায়ী সাইফুল ইসলামকে রড দিয়ে মাথায় সজোরে আঘাত করলে সে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। এই সুযোগে সন্ত্রাসী বাবলু, মান্নান স্টীলের বাক্ধসঢ়;্র ভেঙ্গে পাওয়ারলুম বিক্রির গচ্ছিত ১১ লাখ টাকা বাহির করে নেয় এবং সাইফুল ইসলামকে হত্যার উদ্দেশ্যে টেনে হেচরে সিএনজি যোগে নিয়ে নিরুদ্দেশ হয়।
পরবর্তিতে ২ ঘন্টা পর সাইফুল ইসলামকে বেজগাতী বাজারে পাশে ফেলে সন্ত্রাসীরা চলে যায়। সাইফুল ইসলামকে স্থানীয়রা উদ্ধার শহীদ এম মুনসুর আলী মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে ভর্তি করেন। বর্তমানে সাইফুল ইসলাম হাসপাতালে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছে। এ বিষয়ে সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। বাবলুর বড় ভাই বাবর আলী সেখ ও তার স্ত্রী স্বপ্না খাতুন জানান, বাবলু গংরা এলাকায় সন্ত্রাসী চাঁদাবাজির রাজত্ব কায়েম করে চলেছে। তাদের অত্যাচারে এলাকার নিরীহ সহজ সরল মানুষগুলো
অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। এ বিষয়ে সাইফুল ইসলামের বড় ছেলে মো. আতিক বলেন- বৃহস্পতিবার আমাদের সাপ্তাহিক বাগবাটী হাট হওয়ায় বাড়ীতে কেউ ছিল না। এই সুযোগে আমার বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করা হয়।
এ বিষয়ে সিরাজগঞ্জ সদর থানার এসআই ইয়ামিন বলেন- আমি সরজমিনে তদন্তপুর্বক ব্যবস্থা গ্রহন করবো।
আপনার মতামত লিখুন :