পঞ্চগড়ে ১৫ বছরের মেয়েকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বাবা সাইফুল ইসলামকে (৪৯) আমৃত্যু কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছরের জেল দেওয়া হয়েছে।
রোববার (৩০ জুন) দুপুরে পঞ্চগড় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক, জেলা ও দায়রা জজ বি এম তারিকুল কবির এই দণ্ডাদেশ দেন। সাইফুলের বাড়ি উপজেলা সদরের কামাত কাজলদিঘী ইউনিয়নের সিপাইপাড়ায়।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ধর্ষণের শিকার কিশোরীর পাঁচ ভাইবোনের বাবা এই সাইফুল ইসলাম। তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করায় গত বছরের আগস্টে সাইফুলের সঙ্গে তরুণীর মায়ের বিবাহ বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে ওই তরুণীসহ ছোট দুই ছেলেকে নিয়ে তাদের মা-বাবার বাড়িতে থাকতেন। গত বছরের ২১ সেপ্টেম্বর তরুণীর চাচাতো ভাইয়ের বিয়ে উপলক্ষে বাবা সাইফুলের বাড়িতে যায় মেয়ে। বিয়ের তিনদিন পর ছোট মা বাইরে থাকার সুযোগে সাইফুল তার ঘরেই ঘুমন্ত মেয়েকে ধর্ষণ করেন। পরবর্তীতে তাকে হুমকি ও ভয়ভীতি দেখিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করেন তিনি। একপর্যায়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে ওই কিশোরী। এ ঘটনায় ১৮ নভেম্বর কিশোরীর মা বাদী হয়ে সদর থানায় ধর্ষণ মামলাটি দায়ের করেন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা ও সদর থানার তৎকালীন উপপরিদর্শক শামছুজ্জোহা সরকার গত ২৮ মার্চ আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন।
আসামি পক্ষের আইনজীবী আহসান উল্লাহ আল হাবিব লাবু বলেন, আমরা ন্যায় বিচার থেকে বঞ্চিত হয়েছি এই রায়ের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে আপিল করা হবে।
নারী শিশু নির্যাতন দমন নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকার পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আজিজুর রহমান বলেন, মেয়েকে ধর্ষণের দায়ে বাবার আমৃত্যু কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে আরও এক বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এ রায় সমাজের জন্য একটি বার্তা। এতে করে অপরাধ করতে সাহস পাবেনা।
আপনার মতামত লিখুন :