• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১০ জনের যাবজ্জীবন


FavIcon
অনলাইন ডেস্ক:
প্রকাশিত: জুন ২৬, ২০২৪, ০৬:৫৭ পিএম
কুমিল্লায় হত্যা মামলায় ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড, ১০ জনের যাবজ্জীবন

কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ায় হাজী নূরুল হক নামে এক সালিশদারকে হত্যার দায়ে ৬ জনের মৃত্যুদণ্ড ও ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়। 
আজ বুধবার (২৬ জুন) দুপুরে কুমিল্লার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক জাহাঙ্গীর হোসেন এ রায় দেন।কুমিল্লার অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন রায়ের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ছোট ধুশিয়া গ্রামের মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে মো. মাছুম (৩৫), মৃত আ. লতিফের ছেলে তাজুল ইসলাম (৩২), আবদুল কাশেমের ছেলে মো. মোস্তফা (২৪), ডা. মনু মিয়ার ছেলে মো. কাইয়ুম (২৫), আবদুল ছাত্তারের ছেলে মো. কাইয়ুম (২৮) ও মৃত আব্দুল মালেকের ছেলে মো. তবদুল হোসেন (৪০)।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তরা হলেন ছোট ধুশিয়া গ্রামের মৃত ওয়াব আলীর ছেলে মো. নান্নু মিয়া (৪০), মৃত আলী মিয়ার ছেলে আ. মতিন মিয়া (৪০), মৃত আ. খালেকের ছেলে সাইদুল ইসলাম (২৪), সিদ্দিকুর রহমানের ছেলে বাবুল মিয়া (২৫), মৃত আ. লতিফের ছেলে সফিকুল ইসলাম (৩৫), মৃত নায়েব আলীর ছেলে মো. মোসলেম মিয়া (৪৫), নান্নু মিয়ার ছেলে মো. সফিকুল ইসলাম (২৮), মৃত আ. বাতেনের ছেলে মো. হেলাল মিয়া (২৫), সরু মিয়ার ছেলে মো. আউয়াল মিয়া (৩০) ও মৃত আ. মতিন মিয়ার ছেলে বিল্লাল হোসেন (৩০)।
মামলার বরাত দিয়ে তিনি জানান, ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার ছোট ধুশিয়া এলাকার হাজী নূরুল হক একজন সালিশদার ছিলেন। তিনি এলাকার বিভিন্ন সমস্যার সুষ্ঠু রায় দিয়ে এলাকায় শান্তি ফেরাতেন। তার এলাকার ফরিদ মিয়ার ১২ শতক জমি দখল করেন পার্শ্ববর্তী মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে মো. মাছুম। পরে এ নিয়ে সালিশ বৈঠক বসে। বৈঠকে নূরুল হক মাছুমকে ফরিদ মিয়ার ১২ শতক জমির দখল ছেড়ে দেওয়ার রায় দেন। এতে ক্ষিপ্ত হন মাসুম ও তার পরিবারের লোকজন। এর জেরে ২০১১ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি নূরুল হক কুমিল্লা থেকে নিজের বাড়িতে ফেরার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে সবজুপাড়া-শিদলাই সড়কে তার পথরোধ করে মাসুম ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন এলোপাতাড়ি কুপিয়ে জখম করেন। এতে ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। 
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে শরিফুল ইসলাম বাদী হয়ে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় ২২ জনের নাম উল্লেখ করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলায় ২২ জনের মধ্যে ১৬ জনের সংশ্লিষ্টতার প্রমাণ পান আদালত। ৬ জনকে দায়মুক্ত ঘোষণা করা হয়। ১৬ জনের মধ্যে ৬ জনকে ফাঁসিতে ঝুলিয়ে মৃত্যুদণ্ড এবং ১০ জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। রায় ঘোষণার সময় ১১ আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। বাকিরা পলাতক রয়েছেন।


Side banner
Link copied!