• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

ফুলবাড়ী-মধ্যপাড়া-রংপুর মহাসড়ক সড়ক নয়, যেন চাতাল প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা


FavIcon
অমর চাঁদ গুপ্ত অপু, ফুলবাড়ী (দিনাজপুর) :
প্রকাশিত: জুন ৩, ২০২৪, ০২:৩৩ পিএম
ফুলবাড়ী-মধ্যপাড়া-রংপুর মহাসড়ক সড়ক নয়, যেন চাতাল প্রায়ই ঘটছে দুর্ঘটনা

দিনাজপুরের ফুলবাড়ী-মধ্যপাড়া-রংপুর মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে চলছে ধান ও ভুট্টা মাড়াই। মহাসড়কের পাশে রয়েছে সারি সারি খড়ের পালা। আর পুরো সড়ক জুড়ে শুকানো হচ্ছে ভুট্টা, ধান ও খড়। শুধুমাত্র ফুলবাড়ী-মধ্যপাড়া-রংপুর মহাসড়কই নয়, ফুলবাড়ী-দিনাজপুর, ফুলবাড়ী-গোবিন্দগঞ্জ আঞ্চলিক মহাসড়কসহ গ্রামীণ সড়কগুলোও এখন ধান ও ভুট্টা মাড়াই ও শুকানোর কাজে চাতালে পরিণত হয়েছে। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, প্রতিবছর ভুট্টা ও বোরো ধান মৌসুমে (মে-জুন) মহাসড়কটি কৃষকদের দখলে থাকে। এ সময় মহাসড়কে দুর্ঘটনার সংখ্যাও বেড়ে যায়। গত এক সপ্তাহে অন্তত চারটি দুর্ঘটনায় কেউ নিহত না হলেও নয়জন গুরুতর আহত হয়েছেন। ফুলবাড়ী থেকে মধ্যপাড়া পর্যন্ত ১৫ কিলোমিটারের মধ্যে গত বছরের এই সময়ে দুর্ঘটনায় অন্তত ৭ জন প্রাণ হারানোর পাশাপাশি অনেকে পঙ্গুত্ব বরণ করেছেন। দলদলিয়া ডাঙ্গাপাড়া, মহেষপুর, তেঁতুলিয়া, চিলাপাড়া, ভাগলপুর, ভালকা জয়পুর, মহিষবাতান, রসুলপুরসহ ১০টি গ্রামের কৃষকেরা তাদের জমির ধান ও ভুট্টা এই মহাসড়কের ওপর মাড়াই ও শুকানোর কাজ করেন। সরেজমিনে দেখা গেছে, বিভিন্ন স্থানে মহাসড়কের পাশে সারিবদ্ধভাবে খড়ের পালা দেওয়া হয়েছে। অনেকে যন্ত্র দিয়ে মহাসড়কের
ওপর ধান মাড়াই করছেন। মাড়াই শেষ হওয়ার পর খড় ও ধান মহাসড়কের ওপর শুকানো হচ্ছে। আর এর মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে চলছে ছোটবড় যানবাহন। জিয়ার মোড় এলাকায় ধান মাড়াই ও শুকানোর কাজে কর্মরত কৃষক নূরুল ইসলাম বলেন, এখন কেউ আগের মতো বাড়ীর সামনে ফাঁকা জায়গা রাখে না। নিরুপায় হয়ে মহাসড়কটি ব্যবহার করতে বাধ্য হচ্ছেন। ফুলবাড়ী-বিরামপুর সড়কে ধানমাড়াইকারী শফিকুল ইসলাম ও তার স্ত্রী সাবিনা বেগম বলেন, অল্প সময়ের জন্য রাস্তায় ধান মাড়াই করা হয়। এতে যানবাহনের সাময়িক একটু ক্ষতি হলেও তাদের কিছু করার নেই। কারণ তাদের নিজস্ব চাতাল কিংবা বাড়ীতে বিকল্প ব্যবস্থা নেই। বাধ্য হয়ে তারাও জীবনের ঝুঁকি নিয়েই সড়কে এ কাজগুলো করে থাকেন। ট্রাকচালক আব্বাস উদ্দিন ও মাইক্রো বাস চালক কামাল চৌধুরী বলেন, সড়কের দুই পাশে খড়, ধান ও ভুট্টা শুকানো ও মাড়াইসহ সড়কের দুই পার্শ্বে খড় পালা করে রাখার জন্য রাস্তা সরু হয়ে গেছে। এতে সড়কে দুর্ঘটনার আশঙ্কা থাকে। সামান্য বৃষ্টি হলে ঘটে বিপত্তি। এসময় যানবাহনের নিয়ন্ত্রণ রাখা কঠিন হয়ে যাচ্ছে। জীবনের ঝুঁকি
নিয়েই সড়কে চলাচল করতে হচ্ছে। জানা গেছে, ২১ মে বিকেলে মহাসড়টির মহেষপুর চৌরাস্তা মোডে একটি ট্রাক ও ট্রলির মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। ২৩ মে আয়শার মোড় এলাকায় দুর্ঘটনায় শরিফুল ইসলাম নামের এক মোটরসাইকেল চালকের মৃত্যু হয়। এ ছাড়াও সম্প্রতি সড়কে ভুট্টা শুকানোর কাজ করার সময় এক শিশু দুর্ঘটনায় মারা গেছে। সড়ক ও জনপথ বিভাগের এলাকার দায়িত্বপ্রাপ্ত এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, এগুলো বন্ধ করতে গেলে অনেক ঝুঁক-ঝামেলা করতে হয়। এলাকার মানুসের সঙ্গে বিবাহ হয়। এসব এড়াতে ধীর চলো নীতিতে চলতে হচ্ছে সংশ্লিষ্টদেরকে। নিরাপদ সড়ক চাই সংগঠনের ফুলবাড়ী শাখার সাধারণ সম্পাদক মানিক ম-ল
বলেন, সড়ক, মহাসড়ক ও আঞ্চলিক মহাসড়কে চলাচলকারীদের ঝুঁকি এড়াতে ধান ও ভুট্টা মাড়াই কিংবা খড় শুকানোর কাজ বন্ধ করার উদ্যোগে নিতে হবে সংশ্লিষ্টদের।ফুলবাড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মীর মো. আল কামাহ্ধসঢ়; তমাল বলেন, সড়ক
দখল করে এ ধরনের কর্মকা- বেআইনি। জনস্বার্থে দ্রুত অভিযান চালিয়ে এসব বন্ধ করা হবে। 


Side banner
Link copied!