আদালতের মামলা তুলে না নেওয়ায় পূর্ব শত্রুতার জেরে রবিন তালুকদার (২০) কে চাইনিজ কুড়াল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে ইয়াবা মাদক ব্যবসায়ী সোহাগ ফকির।গত ২৮ মে ২০২৪ রাত দশটার সময় শরীয়তপুর সদর উপজেলার তুলাশার ইউনিয়নের চর পাতানিধি গ্রামে অবস্থিত আব্দুল জলিল খার ৫ নং ইট ভাটার পাশে সাত্তার বেপারীর মুদি দোকানের সামনে পূর্ব শত্রুতা জেরে মোতালেব তালুকদারের পুত্র রবিন তালুকদার (২০)-কে দেশীয় ধারালো রামদা সেনদা, হাতুড়ি এবং চাইনিজ কুড়াল দিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে একই এলাকার ইয়াবা মাদক ব্যবসায়ী সোহাগ ফকির,ইকবাল মাদবর,নাঈম বেপার, শহিদুল তালুকদার।সরজমিন করে স্থানীয় সূত্রে জানা যায় জলিল খানের ৫ নং ইটভাটার পাশে নদী শাসন ব্লক তৈরির প্রজেক্টে তুলাশার ইউনিয়নের চেয়ারম্যান জামাল ফকিরের সুপারিশক্রমে নৈশপ্রহরির চাকরি করেন ইয়াবা সেবনকারী এবং মাদক ব্যবসায়ী চরপাতানিধির সামাদ ফকিরের পুত্র সোহাগ ফকির।পাহারাদার অবস্থায় সন্ধ্যার পরে প্রজেক্টে মাদক ব্যবসায়ী সোহাগ ফকিরের সাথে আড্ডা দেয় বিভিন্ন স্থান থেকে আসা মাদক সেবনকারীরা।মাদক ব্যবসায়ী সোহাগ ফকিরের সাথে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন প্রজেক্টে চাকরি রত পিএম নজরুল সাহেব।ইয়াবা মাদক মামলায় একমাস জেল খাটার পরেও প্রজেক্ট ম্যানেজার নজরুল সাহেব সোহাগ ফকিরকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করেননি বরং সহযোগিতা করেছেন এমনটাই তথ্যে উঠে এসেছে।মাদক সেবনের টাকা যোগাড় করতে সোহাগ ফকিরসহ মাদক সেবনকারীরা গত ১৭ মার্চ মাহিন্দ্র চালক রাকিব তালুকদার আসার পথে হারেছ কোতোয়ালের মাছের ঘেড়ের স্থান থেকে মুখ বেঁধে অপহরণ করে নিয়ে যায়।নেওয়ার পর মারধর করে সাথে থাকা নগদ অর্থসহ বিশ হাজার টাকার মূল্যের রেডমি মোবাইল ছিনিয়ে নেয়। এই ঘটনায় পিতা মোতালেব তালুকদার আদালতে মামলা করেন।সোহাগ ফকিরের হুমকিতে পিতা আদালতের মামলা তুলে না নেওয়ায় পুত্র রবিন তালুকদার কে হত্যার উদ্দেশ্য কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করে।রবিন কে হত্যার উদ্দেশ্যে কোপানের সময় রবিনের চিৎকারে ইয়াবা ব্যবসায়ী সোহাগ ফকিরসহ মাদক সেবনকারীরা পালিয়ে যায় এবং পিতা মোতালেব তালুকদার ঘটনস্থলে গিয়ে এবং ঘটনাস্থলে থাকা স্থানীয়রা রবিন কে আহত অবস্থায় উদ্ধার করে অটোযোগে শরীয়তপুর সদর হাসপাতালে জরুরী বিভাগে নিয়ে যায়। জরুরি বিভাগের কর্তব্যরত ডাক্তার প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে রোগীর অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেলে রেফার করেন।ঢাকা মেডিকেলের ডাক্তার গণমাধ্যমকে বলেন,পায়ের রগ কাটা গেছে এবং মাথায় গুরুতর জখম আমরা সর্বোচ্চ চিকিৎসা দিয়েছি। রবিন স্বাভাবিক জীবনে আর কখনোই ফিরতে পারবে না।রবিনে বাবা গণমাধ্যমকে জানান সোহাগ ফকিরের কথা মত আমি মামলা তুলে না নেওয়ায় আমার ছেলেকে জানে শেষ কইরা দেওয়ার জন্য চাইনিজ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে জখম করে।আমার ছেলেকে সারা জীবনের জন্য পঙ্গু বানিয়ে দিয়েছে।আমি সঠিক বিচার চাই।
পালং থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ গণমাধ্যমকে জানান, রবিনকে মারার ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে।আসামিদেরকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
আপনার মতামত লিখুন :