ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাবে দক্ষিণাঞ্চলের সব নদীর পানি বিপৎসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ ছাড়া আরও কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ নদীর পানি বিপৎসীমার সমান্তরাল ও কাছাকাছি দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
আজ সোমবার (২৭ মে) সকাল ১০টায় বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানান বরিশাল পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপসহকারী প্রকৌশলী মো. তাজুল ইসলাম।
মো. তাজুল ইসলাম জানান, ঘূর্ণিঝড় রেমালের কারণে জোয়ারে বিভাগের সকল নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। সোমবার সকাল ৯টা পর্যন্ত সকল নদীর পানি বিপৎসীমার কয়েক সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়। এতে করে বিভাগের নিম্নাঞ্চলের অনেক এলাকা তলিয়ে গেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের তথ্যানুযায়ী, বরিশালের কীর্তনখোলা নদীর পানি বিপৎসীমার দশমিক ৩৮ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে, ঝালকাঠি জেলার বিষখালী দশমিক ৬৫ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ভোলার দৌলতখান উপজেলার সুরমা-মেঘনা নদীর পানি দশমিক ২৫ সেন্টিমিটার, ভোলার তজুমদ্দিন উপজেলার সুরমা ও মেঘনা নদীর পানি দশমিক ৫২ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে, ভোলার তেঁতুলিয়া নদীর পানি দশমিক ১২ সেন্টিমিটার, উমেদপুর কচা নদীর পানি দশমিক ৫৪ সেন্টিমিটার ও পিরোজপুরের বলেশ্বর নদীর ২ দশমিক ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব কেটে গেলেও জোয়ারের কারণে নদ-নদীতে যে পরিমাণ পানি বৃদ্ধি পেয়েছে তা নামতে দু-এক দিন সময় লাগবে।
বরিশাল বিভাগীয় আবহাওয়া অফিসের ইনচার্জ বশির আহমেদ বলেন, ১০ নম্বর মহাবিপৎসংকেত ঘোষণার পরপরই নদীর পাড় ও অনিরাপদ স্থানের মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। এ ছাড়া সকাল ৯টা পর্যন্ত বরিশালে ৫৪ মিলিমিটার, ঝালকাঠিতে ১৬৭ মিলিমিটার ও পিরোজপুরে ১১০ দশমিক ২ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :