• ঢাকা
  • রবিবার, ০৮ সেপ্টেম্বর, ২০২৪, ২৪ ভাদ্র ১৪৩১

শরীয়তপুরে অ্যাডভোকেট আলমগীর মুন্সির বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচন কমিশনারের মামলা


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: মে ১৯, ২০২৪, ০৪:২১ পিএম
শরীয়তপুরে অ্যাডভোকেট আলমগীর মুন্সির বিরুদ্ধে উপজেলা নির্বাচন কমিশনারের মামলা

শরীয়তপুর সদর উপজেলা নির্বাচন কমিশনার বিকাশ চন্দ্র  দে’র সাথে মানসিক এবং শারীরিক অশালীন আচরণের  কারণে শরীয়তপুর সরকারি কৌশলী এডভোকেট আলমগীর মুন্সির বিরুদ্ধে পালং মডেল থানায় মামলা হয়েছে।জেলা আইনজীবী সমিতি এবং সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, বর্তমানে জি,পি অ্যাডভোকেট আলমগীর মুন্সি, উকিলের সহকারি অর্থাৎ মুহুরী হিসেবে জীবিকা নির্বাহ করতেন। মুহুরী হিসেবে দীর্ঘদিন কর্মরত অবস্থায় আইন নিয়ে পড়াশোনা করে বার কাউন্সিলে পরীক্ষা দিয়ে উত্তীর্ণ হয়ে, পরবর্তীতে জেলা আইনজীবী সমিতির এডভোকেট হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন।রাজনৈতিক এবং এমপি মহোদয়ের দয়ায় এডভোকেট আলমগীর মুন্সী হয়ে গেলেন জি,পি অর্থাৎ সরকারি কৌশলী। গভীর  তথ্যে উঠে এসেছে সরকার পক্ষের উকিল হয়েও অর্থের বিনিময়ে কাজ করতেন ভূমিদস্যুদের পক্ষে। জি,পি থাকা অবস্থায় শুরু হয় তার অনিয়ম আর দুর্নীতি। জেলা প্রশাসকের বাসভবনের পূর্ব পাশে নির্মাণ করেন, বিলাস বহুল বহুতল ভবন।  চলে এলেন জেলা বিশিষ্ট ধনীদের তালিকায়। টাকার উৎস জানতে মামলা হয় দুর্নীত দমন কমিশনে। ২১ মে সদর উপজেলা পরিষদের নির্বাচনের সংক্রান্ত বিষয়ে গত ১৪  মে সদর উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কমিশনারের কার্যালয়ে  বিকাশ চন্দ্র দে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ করার সময় উপস্থিত হন এডভোকেট আলমগীর মুন্সী। ওই টেবিলে থাকা নির্বাচন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ তথ্য নথি ফাইল গোপন রাখায় নির্বাচন কমিশনার বিকাশ চন্দ্র দে’র প্রতি ক্ষিপ্ত হয় অ্যাডভোকেট আলমগীর মুন্সী।পূর্ববর্তী দিনের নির্বাচনের ভোট গ্রহণ কর্মকর্তা গনের নামের তালিকা গোপন রাখার কারণে পরের দিন ১৫ মে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কমিশনার বিকাশ চন্দ্র দে কে পথরোধ করে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে, এডভোকেট আলমগীর মুন্স। গত ১৫ মে বিকেলে সদর উপজেলা নির্বাচন কমিশনার বিকাশ চন্দ্র দে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে যাওয়ার পথে সিড়িতেই রিটারিং অফিসার মোঃ সাইফুদ্দিন গিয়াস এবং সহঃ রিটারিং অফিসার মোঃ মাইন উদ্দিন মহোদয়ের সাথে দেখা হয়।পরে নিচে নেমে তাদের সাথে নির্বাচন সংক্রান্ত কথা বলে।কথা বলার সময় পাশেই দাড়ানো ছিল আলমগীর মুন্সী ।রিটার্নিং অফিসারের নিকট পূর্ব দিনের বিষয় নিয়ে এডভোকেট আলমগীর মুন্সি’ প্রসঙ্গে কথা বলতেই  ক্ষুব্ধ হয় এবং এক পর্যায়ে এডভোকেট আলমগীর মুন্সী নির্বাচন কমিশনার কে হাত উচিয়ে মারতে উদ্যত হয়।এ সময় ঘটনাস্থলে ছিল অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক)ও রিটার্নিং অফিসার, উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও সহঃ রিটার্নিং অফিসার ও নেজারত  ডেপুটি কালেক্টর (এন ডিসি)।ঘটনা স্থলে থাকা কর্মকর্তাগণ আক্রমণকারী অ্যাডভোকেট আলমগীর মুন্সি কে থামানোর চেষ্টা করে। ঘটনার ঐদিন রাতেই উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কমিশনার বিকাশ চন্দ্র দে পালং মডেল থানায় হাজির হয়ে এডভোকেট আলমগীর মুন্সি’র  বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে মামলা হয়েছে। মামলা নং ২৫।  এ ব্যাপারে  জানতে  সরকারি কৌশলী (জিপি) এডভোকেট আলমগীর মুন্সির  মুঠোফোনে আকাধিক বার ফোন করেও তার মতামত নেয়া সম্ভব হয়নি । 
পালং থানার অফিসার ইনচার্জ মোঃ মেজবাহ উদ্দিন আহমেদ এ ব্যাপারে গণমাধ্যমকে জানান উপজেলা নির্বাচনের সংক্রান্ত সরকারি কাজে বাধা দেওয়ায় সদর উপজেলা নির্বাচন কমিশনার  জিপি এডভোকেট আলমগীর মুন্সির বিরুদ্ধে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। অভিযোগের ভিত্তিতে নিয়মিত ভাবে মামলা হয়েছে।            


Side banner
Link copied!