মির্জাগঞ্জে নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী দিয়ে চলছে রাস্তা সংস্কারের কাজ। সংশ্লিষ্ট ঠিকাদার মানছে না নিষেধাজ্ঞা- এমন দাবি করেছে উপজেলা এলজিইডি। উপজেলার পশ্চিম সুবিদখালী আশ্রাফ প্যালেস থেকে দাসের ডাঙ্গা পর্যন্ত ৩ কিলোমিটার রাস্তার সংস্কার কাজে এ অনিয়মের অভিযোগ পাওয়া যায়। নিম্নমানের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করে সড়কের সংস্কার কাজ করার অভিযোগে সংশ্লিষ্ট ঠিকাদারকে নির্মাণসামগ্রী অপসারণের জন্য দুই দফা চিঠি দেয়ার পর সর্বশেষ চুক্তি বাতিলের জন্য উপজেলা প্রকৌশলী দপ্তর থেকে সুপারিশ করা হয়েছে বলে জানা গেছে। কিন্তু এসব কিছু তোয়াক্কা না করে ক্রয়কৃত নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহার করে সংস্কার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে ঠিকাদার। উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, সড়ক রক্ষণাবেক্ষণ ও মেরামত কর্মসূচির আওতায়, ২০২৩-২৪ অর্থবছরে ১ কোটি ২৫ লাখ ৮০ হাজার ৪০৫ টাকা ব্যয়ে দু’টি প্রকল্পে ৩ কিলোমিটার সড়ক মেরামতের কাজ পান কলাপাড়া কাজী এন্টারপ্রাইজ ও পটুয়াখালীর অয়ন এন্টারপ্রাইজ। দুই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান থেকে স্থানীয় ঠিকাদার মো. রঞ্জু হাওলাদার ক্রয় করে সড়কটির সংস্কারের কাজ করছেন। এলাকাবাসীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সড়কটির কাজের মান যাচাই-বাছাই করে ৩১শে ডিসেম্বর চুক্তি বাতিলের সুপারিশ করে জেলা নির্বাহী প্রকৌশলীর কার্যালয়ে চিঠি পাঠান উপজেলা প্রকৌশলী কার্যালয়। এর আগে নিম্নমানের সামগ্রী অপসারণের জন্য ঠিকাদারকে ৫ই ডিসেম্বর এবং দ্বিতীয় দফায় ১২ই ডিসেম্বর চিঠি পাঠানো হয়। এলাকাবাসী জানায়, দীর্ঘদিন এই রাস্তাটির সংস্কার হচ্ছিলো না।তাই ভোগান্তিতে সাধারণ মানুষ চলাচল করছে। এখন কাজ শুরু হচ্ছে নিম্নমানের ইট দিয়ে। ক্রয়কৃত ঠিকাদার মো. রঞ্জু হাওলাদার বলেন, যে সামগ্রীর বিষয়ে অভিযোগ ছিল সেগুলো সরিয়ে ভালোমানের সামগ্রী দিয়ে কাজ করা হচ্ছে। মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী আলমগীর বাদশা বলেন, নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়ার পরে তা অপসারণ করার জন্য দুই দফা চিঠি দেয়া হয়েছে। তারপরেও শর্ত মোতাবেক কাজ না হওয়ায়, চুক্তি বাতিলের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :