বরিশাল সদর উপজেলা চরকাউয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিস দুর্নীতির স্বর্গরাজ্যে পরিণত হয়েছে। ওই অফিসের ইউনিয়ন ভূমি সহকারি কর্মকর্তা (তহসিলদার) সামসুল ইসলাম রিপন টাকা ছাড়া কোন কাজই করেন না। ভূমি সংক্রান্ত যে কোন সেবার বিনিময়ে হাতিয়ে নিচ্ছে টাকা। এই অফিসে গ্রাহকদের হয়রানি নিত্তনৈমত্তিক ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
সরেজমিনে জানা গেছে, চরকাউয়া ভূমি অফিসে নামজারি, জমাভাগ, খাজনা আদায়, জমির পর্চা (খসড়া) তুলা সহ ভূমি সংক্রান্ত সকল কাজে সরকারি নিয়মকে তোয়াক্কা না করে অনৈতিক ভাবে বাড়তি টাকা নেয়া হচ্ছে। চুক্তির টাকা ছাড়া কোন ফাইলই নড়ে না। টাকা না দিলে নির্ধারিত সময়ে কোন কাজ আদায় করা যায় না। ওই ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা গ্রাহক থেকে বাড়তি টাকা নেয়ার পরও বিভিন্ন ভাবে হয়রারি করছে এমনটাই অভিযোগ উঠেছে।
সংশ্লিষ্ট উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের অগোচরে মাঠ পর্যায়ের বরিশাল সদর উপজেলা চরকাউয়া ভূমি অফিসের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতিতে জড়িয়ে পড়ছে বলে জমির কাজে আসা ভূক্তভোগীরা বলছেন ।
ভূমি অফিসে আসা এক গ্রাহক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) জানান, এই অফিসের কর্মকর্তা (তহসিলদার) সামসুল ইসলাম রিপন ভূমি অফিসে কাজে আসা গ্রাহকদের কাজ সম্পাদনের বিষয়ে টাকার বিনিময়ে চুক্তি করেন।
সেবা প্রাপ্তির ২০ শতাংশ লোকই চরম হয়রানির শিকার হতে হয় আজ না-কাল সময়ক্ষেপন করে। সরকারি নীতিমালা উপেক্ষা করে অতিরিক্ত হারে দাবিকৃত উৎকোচ না দিলে সেবা গ্রহীতারা পান না তাদের কাঙ্খিত সেবা।
ভূক্তভোগীরা আরও জানান, চরকাউয়া ইউনিয়ন ভূমি অফিসের দুর্নীতি এমন চরমে পৌঁছেছে সরকারি নীতিমালার বাইরে চুক্তি অনুযায়ী মোটা অংকের ঘুষ ছাড়া কোন হয় না। নামজারির তদন্ত প্রতিবেদন দেওয়ার জন্য ১০ হাজার থেকে মোটা অংক টাকা আদায় করে এই অফিসের কতিপয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন স্তরে ভাগ দেয়ার কথা বলে।
এ ব্যাপারে জানতে ভূমি কর্মকর্তা সামসুল ইসলাম রিপনের মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, বিষয় সঠিক নয় । ভুক্তভোগীদের দাবী এই ভূমি কর্মকর্তার দুর্নীতি রোধে দুদকের সু-হস্তক্ষেপ জরুরি।
আপনার মতামত লিখুন :