মির্জাগঞ্জে অংশীদারিত্বের টাকা আত্মসাৎ, প্রতারণা ও মারধরের হুমকি দেয়ার অভিযোগ এনে মামুন শিকদার (৪৫) নামে এক ঠিকাদারের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
ওই ঠিকাদারের ব্যবসায়িক অংশীদার মোঃ নুরুল হক বাদী হয়ে শুক্রবার (১৬ জুন) সকালে মির্জাগঞ্জ থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ঠিকাদার মামুন ও নুরুল হক দীর্ঘদিন যাবৎ মামুনের বোনের জামাতার খান এন্টারপ্রাইজ নামক এলজিইডির লাইসেন্স দিয়ে অংশীদারি ব্যবসা করে আসছিল। দীর্ঘদিন যাবত তারা দুজনে এলজিইডির আওতাভুক্ত বিভিন্ন রাস্তা ও ব্রীজ নির্মাণের টেন্ডার নিয়ে কাজ সম্পন্ন করে লভ্যাংশ সমান ভাগে বন্টন করে আসছে। তারই ধারাবাহিকতায় কিছুদিন আগে দুজনে চুক্তিনামা মূলে চান্দু মোল্লা বাড়ী সংলগ্ন ২২ মিটার আরসিসি গার্ডার ব্রীজ ও ব্রীজ সংলগ্ন পাকা রাস্তার কাজের টেন্ডার পায়। উক্ত কাজ পরিচালনার জন্য অংশীদার নুরুল হক তার নিজস্ব তহবিল থেকে ২১ লক্ষ টাকা খরচ করে রাস্তার কাজ সম্পন্ন করে, তবে ব্রীজের কিছু অংশের কাজ এখনো বাকী রয়েছে। পরে ঠিকাদার মামুন শিকদার তার অংশীদার নুরুল হককে না জানিয়ে রাস্তার এবং ব্রীজের কাজের সরকারী বরাদ্দের সম্পুর্ন টাকা উত্তোলন করে নিয়ে যায়। কিছুদিন পর অংশীদার নুরুল হক বিষয়টি জানতে পেরে ঠিকাদার মামুন শিকদারের কাছে রাস্তা ও ব্রীজের কাজ পরিচালনা বাবদ তার খরস্কৃত ২১ লক্ষ টাকা ও উক্ত কাজের লভ্যাংশের টাকা ফেরৎ চাইলে আজকাল দিবে বলে ঘুরাতে থাকলে এক পর্যায়ে দুজনের মধ্যে বিরোধ সৃষ্টি হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গরা শালিস বৈঠক করলেও ঠিকাদার মামুন শিকদার শালিস বৈঠকের সিদ্ধান্ত অমান্য করে অংশীদারের টাকা না দেওয়ার টালবাহানা করে। অংশীদার নুরুল হক টাকা চাইলে তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের বিভিন্নভাবে হুমকী প্রদর্শন করতে থাকে।
এ ব্যাপারে জানার জন্য ঠিকাদার মামুন শিকদারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করা হলে তিনি বারবার ফোনটি কেটে দেন।
এ বিষয়ে মির্জাগঞ্জ থানার ওসি আনোয়ার হোসেন বলেন,অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত করে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
আপনার মতামত লিখুন :