পিরোজপুরের নাজিরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক আশুতোষ বেপারীর (৪৬) নগ্ন ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। গত কয়েক দিন ধরে ওই ভিডিও এবং কিছু স্থির ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ মোবাইলের মাধ্যমে বিভিন্ন মোবাইলে ছড়িয়ে পড়েছে। আর এই ঘটনায় জেলা জুড়ে সমালোচনার ঝড় উঠেছে। অভিযুক্ত আশুতোষ বেপারী নাজিরপুর উপজেলার দীর্ঘা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও ওই ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের মৃত জগদ্বীশ বেপারীর ছেলে। এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত আশুতোষ বেপারীর সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি ষড়যন্ত্রের শিকার হয়েছেন বলে দাবী করেন। ভাইরাল হওয়া ওই ভিডিওতে দেখা যায়, ওই আওয়ামী লীগ নেতা একটি সুদৃশ্য কক্ষে বস্ত্রহীন অবস্থায় মদ পান করছেন।
এ সময় সেখানে থাকা এক উলঙ্গ নারীকে নিজ হাতে মদ খাইয়ে দিচ্ছেন। পরে ওই নারীকে নিয়ে যৌন কাজ করতে দেখা যায়। এছাড়া একই কক্ষে অন্য একটি ছবিতে দেখা যায় অন্য এক নারীকে জড়িয়ে ধরে চুমু খাচ্ছেন। জানা গেছে, গত দুই বছর আগে জেলার নেছারাবাদ (স্বরূপকাঠী) উপজেলার দৈহাড়ি গ্রামের এক মেয়েকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে দুই বছর ধরে ধর্ষন করেন। পরে তাকে বিয়ে না করায় তার কিছু অতরঙ্গ ছবি তখন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় আওয়ামীলীগের একাধিক নেতা জানান, পারিবারিক জীবনে অবিবাহিত চেয়ারম্যান আশুতোষ বেপারী ইউনিয়ন পরিষদের উপরের একটি কক্ষ ও নিজ বাড়ির একটি কক্ষে নিয়মিত মদের আসর বসান। সেখানে বিভিন্ন নারীদের নিয়ে কুকীর্তি করেন। গত প্রায় ৭ বছর আগে স্থানীয় এক মুক্তিযোদ্ধার কন্যাকে বিয়ে করার আশ^াস দিয়ে ধর্ষন করেন। পরে তাকে বিয়ে না করায় সে আত্মহত্যা করে। উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি ও উপজেলা চেয়ারম্যান মো. মোশারেফ হোসেন খান বলেন, সাধারন সম্পাদক আশুতোষ বেপারীর এমন মদ ও নারী কেলেঙ্কারী নতুন নয়। সে ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে বসে মদ ও নারী কলেঙ্কারীর ঘটনা ঘটাতো। এ নিয়ে তার বাবার সাথে ঝামেলা ছিলো। এর আগে আমি (উপজেলা চেয়ারম্যান) ও ওই ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি সুনিল হালদার এ বিষেয়ে ওই বাড়িতে গিয়ে তার বাবার সাথে ঝামেলা মিট করে দেই। তখন তিনি ২-৩ মাসের মধ্যে বিয়ে করবে বলে অঙ্গিকার করেন। সে আমার কমিটির সাধারন সম্পাদক। বিষয়টি নিয়ে দারুন লজ্জা লাগছে। এ বিষয়ে নিউজ করার দরকার নাই। এ বিষয়ে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক কমিটির তথ্য ও গবেষনা সম্পাদক পরিচয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা কৃষ্ণকান্ত মজুমদার বলেন, আজীব আ’লীগের সাথে জড়িত। আওয়ামীলীগের একজন নেতা এমন ঘটনার সাথে জড়িত থাকায় নিজেকে লজ্জিত মনে হচ্ছে। এমন নেতাকে দল থেকে বহিস্কারের দাবী জানাচ্ছি।
আপনার মতামত লিখুন :