• ঢাকা
  • বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর, ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১

ইউপি মেম্বার শাকিলের জনসেবার নামে প্রতারণা !


FavIcon
নিজস্ব প্রতিবেদক:
প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২৩, ০৭:৩৮ পিএম
ইউপি মেম্বার শাকিলের জনসেবার নামে প্রতারণা !
ছবি - সংগৃহীত

বরিশাল সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের ৫ নং ওয়ার্ড রাজারচর বর্তমান ইউপি মেম্বার শাকিল রাড়ীর বিরুদ্ধে জনসেবার নামের প্রতারণা ও দুর্নীতিসহ নানান অভিযোগ উঠেছে। চরমোনাই ইউনিয়নের বিএনপির দলীয় সাবেক চেয়ারম্যান সালাম রাড়ীর ভাতিজা বিএনপি দলীয় ছাত্রনেতা শাকিল রাড়ী। বর্তমানে ইউপি মেম্বার শাকিল রাড়ীর অত্যাচারে এলাকাবাসী অতিষ্ঠ। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। প্রশাসন নিরব ভূমিকায়। এই বিএনপির নেতা ও ইউপি মেম্বার শাকিলের অত্যাচারে অতিষ্ঠ এলাকাবাসী। তার ষড়যন্ত্রে মা বোনেরা এলাকায় শান্তিতে বসবাস করতে পারে নাই। সেই লুচ্চা লম্প সন্ত্রাস বর্তমান আওয়ামীলীগের আমলে চরমোনাই রাজারচর ৫ নং ওয়ার্ডের ইউপি মেম্বার। মেম্বার হওয়ার পরপরই এলাকায় ফের শুরু হয়েছে শাকিল রাড়ির সন্ত্রাসী সাম্রাজ্য দেখার মত নাই কেউ যখন তার চাচা বিএনপি নেতা সাবেক চেয়ারম্যান সালাম রাড়ী চেয়ারম্যান থাকেন তার ক্ষমতা প্রভাব খাটিয়ে এই ছাত্রদল নেতা বিভিন্ন স্কুল কলেজ থেকে চাঁদা উত্তোলন সহ অন্যের জমি জোরপূর্ব দখল করে নিতেন এবং মানুষকে হত্যার উদ্দেশ্যে মারপিট করত এভাবে চলছিল তার সাম্রাজ্য। এবং পাশাপাশি নদী থেকে ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলন করে রাতারাতি বিপুল অর্থ সম্পদের মালিক হয়েছেন ইউপি মেম্বার শকিল রাড়ী। বর্তমানে মেম্বার হওয়ার পর থেকেই চাঁদাবাজি,মাদক ব্যবসা করে আসছেন ছাত্রদলের নেতা ইউপি মেম্বার শাকিল রাড়ী। সরেজমিনে দেখা যায় শাকিল এর জুয়ার আড্ডার পাশাপাশি মাদক সেবন করার আড্ডাখানাও চলছে রমরমা। তার ভয়ে কেউ মুখ খোলার সাহস পয়ানা। স্থানীয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যক্তিরা গণমাধ্যমকে জানান, শাকিল রাড়ী আগে থেকেই  চাঁদাবাজ ও সন্ত্রাস নারী লোভী মাদক ব্যবসায়ী ছিল। ২০২১ সালে ইউপি মেম্বার হওয়ার পরপর ৫ নং ওয়ার্ড মাদকে ও চাঁদাবাজিতে ভরপুর করে তুলেছে । তার অত্যাচারে আমরা শান্তিতে বসবাস করতে পারি না। আমরা সাধারন মানুষ পাইনি ন্যায় বিচার, বিচারে আনতে হলে দিতে হয় ঘুষ ,ঘুষ না দিলে ন্যায়বিচার মেলেনা এই ইউপি মেম্বার এর কাছ থেকে। এলাকায় জমি বিক্রি করলে, গাছ বিক্রি করলে চাঁদা দিতে হয় ইউপি মেম্বারকে। মেয়েদেরকে বিবাহ দিলে চাঁদা দিতে হয় ইউপি মেম্বার শাকিলকে। না দিলে মিথ্যা মামলা ও হামলা হত্যার হুমকি দেন তিনি । শাকিল রাড়ী মেম্বার হওয়ার পরে এলাকায় গরীব দুঃখী মানুষ, টি-আর,-কাবিখা ও বয়স্ক ভাতা কার্ড পেতে হলে দিতে হয় ৩  হাজার ৪ হাজার ৫০০০ টাকা। টাকা না দিলে মিলে না বয়স্ক ভাতার। টি-আর,-কাবিখা চাউলে  হয়রানি হতে হয় মানুষের। ভিজিএফ কার্ড চাউল দিলে ৩০ কেজির বস্তার জায়গায় থাকে ২৫- ২৬ কেজি বাকি চাউলের টাকা ইউপি মেম্বারের পকেটে। এভাবে সন্ত্রাসের সম্রাজ্য চালিয়ে যাচ্ছেন ইউপি মেম্বার শাকিল রাড়ী। বিভিন্ন খাল - নদীতে অবৈধ ড্রেজার দিয়ে রাতে উঠাচ্ছেন বালু, প্রশাসন নিরব। এর আগেও শাকিলের বিরুদ্ধে বিভিন্ন পত্র -পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হলে অবৈধ টাকার ক্ষমতায় বেরিয়ে আসেন শাকিল।রাজনৈতিক মামলা থাকলেও বর্তমানে তিনি ইউপি মেম্বার ।তার বিরুদ্ধে অভিযোগের শেষ নেই। এলাকায় অবৈধ সমিতি গড়ে তুলে এই ইউপি মেম্বার শাকিল। একটি মাল্টিপারপাস সমিতি চলমান রয়েছে তার। সেই সমিতিতে  সদস্য করে লোন দিয়ে থাকেন লাখ টাকা। কিস্তি চার মাসে গ্রাহকদের পরিশোধ করতে হলে তাতে ১৪ হাজার টাকা সুদ নিয়ে থাকেন। এবং প্রতিদিন ৫০০ টাকা কিস্তি নিয়ে এক বছরে জন্য গ্রাহকদের লোন দিয়ে থাকেন।তার লোন পরিশোধ করতে না পারেলে ৪ মাসের মধ্যে তাদের ডাবল সুদ দিতে হয়।  না দিলে তাদের কাছ থেকে গরু ছাগল কেড়ে নিয়ে বিক্রি করেন এই ইউপি মেম্বার শাকিল রাড়ী। তিনি সরকারের নিয়ম নীতির বাহিরে সুদের  টাকায় বর্তমানে তাদের সমিতিতে এক কোটি টাকা হয়ে দাঁড়িয়েছে । প্রশাসন নিরব ভূমিকায়। এ বিষয়ে শাকির রাড়ী  কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন,একটু পরে কথা বলবো বলে ফোন কেটে দেয়। বিস্তারিত চলবে আগামী পর্বে.............!
 


Side banner

সারাবাংলা বিভাগের আরো খবর

Link copied!