কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের সদস্য কাজল হোসেনকে (৪২) কুপিয়ে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষরা।
বুধবার (১৫ মার্চ) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার সর্দারপাড়া মোড়ে বাড়ির পাশে এ ঘটনা ঘটে। এরপর বৃহস্পতিবার (১৬ মার্চ) ভোর ৫টার দিকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
কাজল হোসেন দৌলতপুর সদর ইউনিয়নের ৭নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য এবং ইউনিয়ন যুবলীগের নেতা। তার বাবার নাম মো. সুন্নত।
স্থানীয়রা জানান, ধারালো হাসুয়া দিয়ে মেম্বার কাজল হোসেনের পিঠে ও ঘাড়ে কুপিয়ে জখম করে তারই প্রতিপক্ষের লোকজন। পরে সেখান থেকে উদ্ধার করে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। বৃহস্পতিবার ভোরে হাসপাতালেই তার মৃত্যু হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করলেও হত্যার সঙ্গে জড়িত কাউকে এখনও আটক করতে পারেনি।
কাজলের ছোট ভাইয়ের স্ত্রী আরিফা খাতুন বলেন, ঘটনার পর থেকেই আশঙ্কাজনক অবস্থায় ছিলেন তার ভাসুর। শরীরে স্যালাইন চলছিল। ভোরে তার মৃত্যু হয়।
কাজলের প্রতিবেশী মহব্বত হোসেন বলেন, ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন ও প্রভাব বিস্তার নিয়ে সর্দারপাড়ার লোকজনের সঙ্গে কাজলের বিরোধ ছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটিয়েছে।
দৌলতপুরে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মজিবর রহমান জানান, এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় থানায় এখনো মামলা হয়নি। তবে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। দোষীদের বিচারের আওতায় আনা হবে। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে রাখা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :