বগুড়ার গাবতলী উপজেলায় আওয়ামী লীগ-বিএনপির মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে পক্ষের ২৩ জন আহত হয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ রাবার বুলেট নিক্ষেপ করেছে। রোববার (২৯ মে) বিকালে সংঘর্ষ থামলেও উপজেলাজুড়ে থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে। এর আগে সকাল সাড়ে ১১টার দিকে ঘটনার সূত্রপাত।
জানা যায়, শুক্রবার গাবতলী উপজেলা বিএনপির সম্মেলনে বিএনপি নেত্রী ও সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান সুরাইয়া জেরিন রনি বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নিয়ে কটুক্তি করেন। স্থানীয় আওয়ামী লীগ সেই বক্তব্যে অনেকটা ফুসে উঠেছে। তারা ওই নেত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ এবং কুশপুত্তলিকা পুড়িয়েছে। পরে আওয়ামী লীগ নেতা ও জেলা পরিষদের সদস্য সুলতান মাহমুদ খান রনি বাদী হয়ে মামলাও করেছেন। রোববার (২৯ মে) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ একত্রিত হয়ে গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতি মোর্শেদ মিলটনের বাসায় হামলা চালায়। এসময় গ্রামবাসী হামলাকারীদের প্রতিরোধ করে। পরে বিএনপির নেতাকর্মীরা একত্রিত হলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
এ সময় উভয়পক্ষের ৭-৮জন আহত হয়। পরে পুলিশ উভয় দলের মাঝখানে অবস্থান নিলে কিছুক্ষণ সংঘর্ষ থেমে থাকে।
পরে বিকাল তিনটার দিকে উভয়পক্ষের মধ্যে আবারও সংঘর্ষ বাধে। এসময় পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে। এতে প্রায় বিএনপির ১৫ নেতাকর্মী আহত হন। আহতদের মধ্যে গাবতলী পৌরসভার কাউন্সিলর ও যুবদল নেতা হারুন অর রশিদ, যুবদল নেতা সেলিম রেজা, মালেক মোক্তাদির, গাবতলী উপজেলা ছাত্রদল নেতা এম আর হাসান পলাশ, ছাত্রদল নেতা আশিক, আল আমিন, হ্যাপিসহ অনেকে। এসময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা বিএনপির উপজেলা কার্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দেয় এবং আসবাবপত্র ভাঙচুর করে।
এছাড়াও গাবতলী উপজেলা ছাত্রদল নেতা রনি মিয়ার একটি মোবাইল ফোনের দোকানে হামলা চালিয়ে লুটপাট করার অভিযোগ ওঠেছে। রনি বলেন, আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ নেতাকর্মীরা তার দোকান থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকার মোবাইল ফোন লুট করেছে। কম্পিউটারসহ দোকানের আসবাবপত্র ভাঙচুর করা হয়েছে।
বগুড়া জেলা বিএনপির আহবায়ক বলেন, পুলিশের রাবার বুলেটে বিএনপির বেশ কিছু নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। আমাদের এক নেত্রীর বক্তব্যের জেরে আওয়ামী লীগের লোকজন গাবতলী উপজেলা বিএনপির সভাপতির বাড়িতে হামলা করতে গেলে গ্রামবাসী প্রথমে তাদের প্রতিরোধ করে। পরে পরিস্থিতি অন্যদিকে মোড় নেয়।
গাতবলী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ সিরাজুল ইসলাম রাবার বুলেট নিক্ষেপের কথা স্বীকার করে বলেন, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুই রাউন্ড রাবার বুলেট ছোঁড়া হয়েছে। তিনি বলেন, এখন পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :