নীলফামারী সদরের কুন্দপুকুর মাজার কবরস্থানের কবর থেকে ১৬টি কঙ্কার চুরির অভিযোগ উঠেছে।সদর উপজেলার কুন্দপুকুর ইউনিয়নের নীলফামারীর হযরত মহিউদ্দিন চিশ্তি(রাঃ)কুন্দপুকুর মাজার সংলগ্ন কবরস্থানে বুধবার(২০ এপ্রিল) সকালে ১৬টি কবরের মাটি এলোমেলো অবস্থায় দেখতে পাওয়া যায়। উন্মুক্ত থাকা কবরগুলোতে দাফনের কাপড় পাওয়া গেলে কঙ্কাল খুঁজে পাওয়া যায়নি।এতে করে ধারণা করা হচ্ছে গত মঙ্গলবার দিবাগত রাতে এসব কবর থেকে কঙ্কাল চুরি করে নিয়ে গেছে দূর্বৃত্তরা।কুন্দপুকুর ইউনিয়নের সরকারপাড়া গ্রামের ভাটা শ্রমিক আশরাফুল হক(১৮)বলেন, সকাল ১০টার দিকে কবরস্থানে এসে আমার বাবার কবরটা খোড়া দেখতে পাই।প্রথমে ধারণা করেছিলাম শেয়াল খুড়েছে।পরে দেখতে পাই আরও কয়েকটা কবরের একই অবস্থা।খবর পেয়ে অনেকেই ছুটে এসে দেখেন এমন ১৭টি কবর খোড়া হয়েছে। নীলফামারী পৌরসভার দক্ষিণ হারোয়া গ্রামের ফারুক ইসলাম নামে এক ব্যক্তি বলেন,এক বছর আগে ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে আমার ভাজতি আরিফা(১২)মারা গেলে তাকে সেখানে কবর দেওয়া হয়।বুধবার সকালে কবরস্থান থেকে কঙ্কাল চুরির খবর পেয়ে এসে দেখি কবরটির মাটি খোড়া হয়েছিল।কিন্তু তার কঙ্কাল নিয়ে যায়নি।আমরা দেখার পর আবারও মাটি দিয়েছি।একই গ্রামের আব্দুর রাজ্জাক (৪৮) বলেন, সকালে এসে ১৭টি কবরের মাটি খোড়া অবস্থায় দেখতে পাই।এসব কবর দেড় থেকে দুই বছরের হবে।আমার বড়ভাই আজাহার আলী এবং বোন জিন্নাহ খাতুনের কবরে কঙ্কাল খুঁজে পাইনি।দূর্বৃত্তরা ওই কঙ্কাল দুটি নিয়ে গেছে। খবর দেওয়া হলে পুলিশ এসে ঘটনাস্থল দেখে যায়।তবে ওই ১৭টির মধ্যে ১২ বছরের একটি মেয়ের কবর খোড়া হলে তার কঙ্কাল নেয়নি।
কুন্দপুকুর ইউনিয়নের কাচারীপাড়া গ্রামের জয়নাল আবেদীন(৪৯)বলেন, ১১ মাস আগে আমার বাবা তারা মামুদ ও ২০ মাস আগে মা ফুলফুলি বেগমকে কবর দেওয়া হয় ওই কবরস্থানে। খবর পেয়ে বুধবার সকালে এসে ওই কবর দুটির মাটি খোড়া দেখতে পাই। সেখানে কাফনের কাপড় পাওয়া গেলেও কঙ্কাল পাইনি।কুন্দপুকুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, মঙ্গলবার রাতে ঝড়-বৃষ্টি ছিল।এর সুযোগে এ ঘটনা ঘটিয়েছে দূর্বৃত্তরা।পুলিশ ও মাজার কমিটির সভপতি সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছেন।তবে কতটি কঙ্কাল চুরি হয়েছে সেটি না দেখে বলা সম্ভব না।মাজার কমিটির সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান শাহিদ মাহমুদ বলেন,স্থানীয়দের দেয়া তথ্য মতে সেখানে কবর খুড়ে কঙ্কাল চুরির ঘটনাটি ঘটতে পারে।পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শণ করেছে।পুলিশ তদন্ত করলে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া যাবে।
নীলফামারী সদর থানার ওসি আব্দুর রউপ বলেন, সেখানে পুলিশের একজন কর্মকর্তাকে পাঠানো হয়েছিল।পুলিশ যাওয়ার আগে স্থানীয়রা খোড়া কবরগুলো মাটি দিয়ে বন্ধ করে দিয়েছেন।কঙ্কাল চুরি গেছে এমন কেউ কিছু বলেননি।লিখিত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আপনার মতামত লিখুন :